Greenland Parliamentary Election

গ্রিনল্যান্ডের ভোটে ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্যপন্থীরা জয়ী, দ্বিতীয় স্থান পেল পূর্ণ স্বাধীনতাপন্থীরা

ডেনমার্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ওই দুই দলের প্রাপ্ত ভোট ২৯.৯ এবং সাড়ে ২৪ শতাংশ। আসনসংখ্যা ১০ এবং ৮।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৩
Share:

—ফাইল ছবি।

গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্ট ভোটে জয়ী হল ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প-বিরোধী’ মধ্য-দক্ষিণপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। দ্বিতীয় স্থানে ডেনমার্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্ণ স্বাধীনতার সমর্থক নালেরাক পার্টি। ডেনমার্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ওই দুই দলের প্রাপ্ত ভোট ২৯.৯ এবং সাড়ে ২৪ শতাংশ। আসনসংখ্যা ১০ এবং ৮।

Advertisement

৩১ আসনের গ্রিনল্যান্ড পার্লামেন্টের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ‘জাদুসংখ্যা’ ১৬ আসন। এ বারে নির্বাচনে মোট ছ’টি দলের প্রার্থীরা লড়ছেন। ঘটনাচক্রে, তার মধ্যে চারটি দলই ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রিনল্যান্ডের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। ২০১৮ সালের পার্লামেন্টের ভোটে জিতে গ্রিনল্যান্ডে ক্ষমতা দখল করেছিল কমিউনিটি অফ দ্য পিপল (আইএ) এবং ফরোয়ার্ড (এস) দলের জোট সরকার। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আইএ নেতা মিউটে এগেদে। এ বারের ভোটে তাঁর দল তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সাড়ে ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে সাতটি আসনে জিতেছে। ভোটের ফল থেকে স্পষ্ট, এ বারেও জোট সরকার হতে চলেছে গ্রিনল্যান্ডে।

প্রসঙ্গত, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বে গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প । দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসের ‘দখল’ নিশ্চিত হওয়ার পরে দিয়েছিলেন বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও। সে সময় রিপাবলিকান নেতার ওই হুমকির প্রতিবাদ করেছিল ডেমোক্র্যাটস পার্টি। ট্রাম্পের ‘রক্তচক্ষু’ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানেই হয় ‘গ্রিনল্যান্ড স্বশাসিত অঞ্চলের’ আইনসভার নির্বাচন।

Advertisement

ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৬ হাজার জনসংখ্যার ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করেন। আর বিদেশ এবং প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি নেয় ডেনমার্ক সরকার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিক বার ডেনমার্ক দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে এই ভোটপর্ব ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement