চিনের বিরুদ্ধে এনপিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে এনপিটি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানকে পারমাণবিক চুল্লি দিয়েছে চিন।
নিউক্লিয়ার নন প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) তে স্বাক্ষর করেনি বলে ভারতকে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ (এনএসজি)-এর সদস্য হতে বাধা দিয়েছে চিন। গত জুনে প্রথমে ভিয়েনা এবং পরে সিওলের বৈঠকে ভারতের এনএসজি-র অন্তর্ভুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে চিন। সেই চিনের বিরুদ্ধে এনপিটি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল। পাকিস্তানকে ছ’টি চাসমা-৩ পারমাণবিক চুল্লি দিয়েছে চিন। এই চুল্লি দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে মিলল গভীরতম ব্লু হোল! ‘ড্রাগন রন্ধ্র’, বলছে বেজিং
ভারতের মতোই পাকিস্তান এনপিটি-তে স্বাক্ষর করেনি। আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১০ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর পর্যালোচনা বৈঠকে কোন দেশকে পারমাণবিক প্রযুক্তি পেতে হলে সেই দেশেকে বেশ কিছু শর্ত (সেফগার্ডস) মানার কথা বলা হয়েছিল। পাকিস্তান সেই শর্তগুলি মানেনি। তার পরেও চিন পাকিস্তানকে ছ’টি চামসা-ত পারমাণবিক চুল্লি দেয়। এটি নিয়মের উলঙ্ঘন বলে মনে করে আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন। এনএসজি-তে থাকা কোনও দেশ এটা করতে পারে না বলেও আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে।
কিন্তু চিনের যুক্তি হল, ২০০৪ তারা এনএসজি-র সদস্য হয়েছে। আর পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুল্লি সরবরাহের চুক্তি হয়েছে ২০০৩-এ। ফলে এ ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়নি। এই নিয়ম ভাঙার জন্য মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোলরেজিম-এর সদস্য হতে পারেনি চিন। আবেদন করলেও তাদের সদস্য পদ ঝুলে আছে। কিন্তু সম্প্রতি এর সদস্য পদ পেয়েছ ভারত।