China

আর দু’মাসে কি প্রতিষেধক চিনে

সারা বিশ্বে এখন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লক্ষের বেশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আর মাত্র এক মাস। তার পরেই চিনের তৈরি করোনার প্রতিষেধক সাধারণ মানুষের উপরে প্রয়োগের উপযুক্ত হয়ে যাবে বলে দাবি করল সে দেশের সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। চিনে বর্তমানে চারটি কোভিড প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। জুলাইয়ে এগুলির মধ্যে তিনটি স্বেচ্ছাসেবীদের উপরে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছে। এই অবস্থায় গত কাল সিডিসির এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ওই ট্রায়ালগুলি সফল হয়েছে। নভেম্বর বা খুব বেশি হলে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যেতে পারে। ওই বিশেষজ্ঞ এ-ও জানিয়েছেন, তিনি নিজে এপ্রিলে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি প্রতিষেধক নিয়েছেন এবং এখনও অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়নি তাঁর শরীরে।

Advertisement

ব্রিটেনে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় সে দেশে টিকার ট্রায়াল বন্ধ করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ব্রিটেন ফের পরীক্ষা শুরু করলেও আমেরিকা জানিয়েছে, তারা আপাতত ট্রায়াল বন্ধই রাখছে। মার্কিন ওষুধ ও খাদ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত দফতরের তদন্তের পরে টিকা পরীক্ষা শুরু করার কথা ভাববে তারা। সারা বিশ্বে এখন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লক্ষের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৯ লক্ষ ৩৪ হাজারের কাছাকাছি মানুষের। এই পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক আনার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিটি দেশই। তবে বিশেষজ্ঞদের এক দলের মত, করোনার চিকিৎসা আবিষ্কার হলেও শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সবচেয়ে জরুরি।

শুধু মৃত্যুর হারই নয়, করোনা অতিমারির জেরে গোটা পৃথিবীর সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞেরা। বিল গেটসের সংস্থা যেমন জানিয়েছে, করোনার ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন অন্ততপক্ষে ২০ বছর পিছিয়ে যাবে এবং চরম দারিদ্রের শিকার হবে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের এক রিপোর্টের উল্লেখ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অতিমারির জেরে ২০২১ সালের শেষে বিশ্ব অর্থনীতিকে ১২ লক্ষ কোটি ডলারের ধাক্কা সহ্য করতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ভোটের খেলা’, বিস্ফোরক বহিষ্কৃত কর্মী​

আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষে ভারত, তবু লকডাউনের গুণগান​

সারা বিশ্বে সংক্রমণের নিরিখে এখনও শীর্ষেই রয়েছে আমেরিকা। এই সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে যে ভাবে এগিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তা নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জনমত অনুযায়ী ট্রাম্পের তুলনায় করোনা-মোকাবিলায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বা চিনের

প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং অনেক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন