ভারত বরাবরই এই বাঁধ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। প্রতীকী ছবি।
ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও সিন্ধু নদের উপর বাঁধ তৈরির প্রস্তাব দিল চিন। এমনটাই দাবি পাকিস্তানের। সোমবার পাক সরকার নিয়ন্ত্রিত রেডিও পাকিস্তানে এই ঘোষণা করা হয়েছে। চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের অঙ্গ হিসেবেই ওই নদের উপরে ১৪ হাজার কোটি টাকার ডায়ামার-ভাশা বাঁধ প্রকল্প গড়া হবে।
বিষয়টি ইতিমধ্যেই পাক পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে জানিয়েছে সে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা। মাসখানেক আগেই দেশের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল দাবি করেছিলেন, ওই প্রকল্পে টাকা ঢালতে চিন রাজি হবে বলেই আশা করছে পাকিস্তান। গিলগিট-বাল্টিস্তানে ওই বাঁধ প্রকল্প গড়া নিয়ে ভারতের সায় না মেলায় তাতে বিনিয়োগ করতে অস্বীকার করে বিশ্বব্যাঙ্ক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি)।
আরও পড়ুন
সিরীয় বিমান গুঁড়িয়ে বিতর্কে মার্কিন সেনা
গিলগিট-বাল্টিস্তানের মধ্যে ওই বাঁধ গড়া ছাড়াও ওই অঞ্চল দিয়েই চার হাজার ছ’শো কোটি ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলা হবে। ভারত অবশ্য বরাবরই ওই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। কারণ, দেশভাগের পর গিলগিট-বাল্টিস্তান-সহ কাশ্মীরের অনেকাংশ দখল করে নেয় পাকিস্তান। ভারতের দাবি, ওই অঞ্চল আসলে কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফলে ওই অঞ্চলে করিডর তৈরিতে আপত্তি ভারতের। সে কথা চিন-পাক সরকারকেও বহু বার জানিয়েছে কেন্দ্র। বছরখানেক আগে ওই করিডর নিয়ে মার্কিন সমর্থনেও বিরক্তি প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বছর দু’য়েক আগে এই বাঁধ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে অস্বীকার করে বিশ্বব্যাঙ্ক। গত নভেম্বরে একই পথ বেছে নেয় এডিবি-ও। তবে ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও ‘নীতিগত ভাবে’ এই বাঁধ তৈরিতে সবুজ সঙ্কেত দেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের দাবি, ওই বাঁধ প্রকল্প শেষ হলে তা থেকে ৪৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। তা ছাড়া, ওই করিডরে একটি বাঁধ নির্মাণেরও প্রয়োজনীয়তা ছিল বলেই এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী পাকিস্তান।