China-Japan Conflict

চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে প্রস্ততি শুরু করল জাপান! তাইওয়ান উপকূলের অদূরে মোতায়েন করা হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র

চিনা হানাদারি ঠেকাতে তাইওয়ানের উপকূল থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরের ইয়োনাগুনি দ্বীপে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি শুরু করেছে জাপান। যা নিয়ে ক্রুদ্ধ বেজিং।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৩
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নতুন করে উত্তেজনার আঁচ তাইওয়ান প্রণালীতে। সম্ভাব্য চিনা হানাদারি ঠেকাতে এ বার তাইওয়ানের উপকূল থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইয়োনাগুনি দ্বীপে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি শুরু করেছে জাপান। ব্লুমবার্গ প্রকাশিত রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

জাপানের এই তৎপরতার জবাবে সরাসরি হুমকি দিয়েছে বেজিং। একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম পিএলএ ডেইলি বলেছে, ‘‘টোকিয়ো যদি তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে পুরো জাপান যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে।’’ চিন-জাপানের বর্তমান সংঘাতের সূচনা গত ৭ নভেম্বর। জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সে দিন জানিয়েছিলেন, চিন যদি তাইওয়ান দখল করতে উদ্যোগী হয় তবে তাঁরা চুপ করে বসে থাকবেন না। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য করা হবে।’’

জাপানি প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই সরাসরি সামরিক আগ্রাসনের হুমকি দিয়েছিল বেজিং। চিনা প্রতিরক্ষা দফতর বিবৃতিতে বলে, ‘‘তাইওয়ান পরিস্থিতি নিয়ে নাক গলানো বন্ধ না করলে ‘ধ্বংসাত্মক সামরিক পদক্ষেপের’ মুখে পড়বে জাপান।’’ তার এক দিন পরেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর রণতরী ঘিরে ফেলেছিল জাপানের সেনকাকু দ্বীপ। যদিও পরে তারা সরে যায়। এই পরিস্থিতিতে সামরিক অবস্থানগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইয়োনাগুনি দ্বীপে জাপান ফৌজের ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ঝজাহাজ মোতায়েনের উদ্যোগে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে একাধিক বার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে তাইওয়ানের জল এবং আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বেজিং। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান।

Advertisement

চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। সে সময় পূর্ব চিন সাগর থেকে কয়েকটি জাপানি যুদ্ধজাহাজও তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথম বার তাইওয়ান প্রণালীতে জাপানি যুদ্ধজাহাজের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘিরে দু’দেশের সংঘাতের শুরু হয়। সে সময় তাইওয়ান সংলগ্ন জাপানি দ্বীপের সেনকাকুর নাম হঠাৎ করেই বদলে দিয়াওয়ু করে দেয় চিন। শুধু তা-ই নয়, বেশ কয়েক বার এর জলসীমায় রণতরী পাঠিয়েছে ড্রাগনের লালফৌজ। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে টোকিয়ো বার বার অভিযোগ জানালেও, তাতে পাত্তা দেয়নি বেজিং। উল্টে অন্যায় ভাবে সংশ্লিষ্ট দ্বীপটি জাপান দখল করে রেখেছে বলে পাল্টা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জিনপিং সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement