জঙ্গিহানার পরে খাইবার পাখতুনখোয়া। ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফের অভিযান চালাল পাকিস্তানি বাহিনী। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলায় সেনা এবং আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-র অন্তত ২২ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।
সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে পাক সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ফেডেরাল কনস্ট্যাবুলারির সদর দফতরে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। ইসলামাবাদের অভিযোগ, টিটিপি (পাক সরকার এবং সেনা যাদের ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ়’ বলে চিহ্নিত করে) জঙ্গিরাই ওই হামলার জন্য দায়ী। সোমবার রাত থেকেই আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নতুন করে জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে পাক যৌথবাহিনী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সীমান্ত লঙ্ঘনের কোনও অভিযোগ তোলেনি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে টিটিপির একটি ডেরায় বিমানহামলা হয়েছিল। ১০ অক্টোবর বিমানহানার ঘটনা ঘটে পাক সীমান্তবর্তী পকতিকা প্রদেশের একটি বাজারে। দু’টি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছিল আফগান তালিবান সরকার। ঘটনাচক্রে, তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফরের সূচনাপর্বেই হয় ওই বিমানহামলা। তারই জবাবে ১১ অক্টোবর পাক সীমান্তে হামলা চালানো হয়, দাবি কাবুলের। তারা জানায়, ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়েছে তাদের হামলায়। পাক সেনার পাল্টা দাবি, তাদের হামলায় ২০০ বেশি তালিবান সেনার নিহত হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় দু’তরফের সংঘর্ষবিরতি হলেও ডুরান্ড লাইন (পাক-আফগান সীমান্ত) বরাবর এখনও উত্তেজনা রয়েছে। এই আবহে আফগান সীমান্তে পাক বাহিনীর টিটিপি দমন অভিযান ঘিরে নতুন করে ইসলামাবাদ-কাবুল সংঘাতের জল্পনা দানা বেঁধেছে।