দ্বারকানাথ শান্তারাম কোটনিস। ভারতীয় এই চিকিত্সক চিনে একজন হিরো। প্রায় প্রতি বছরই কোনও না কোনও চিনা নেতা ভারতে এসে দেখা করেন এই ভারতীয় চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে। কেন জানেন?
১৯৩৮ সালে দ্বারকানাথকে ভারতের তরফে চিনে পাঠানো হয়। ১৯৪০ সালে জাপানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় চিনা সৈনিকদের চিকিৎসা করেছিলেন দ্বারকানাথ। এমনকি চিনের হয়ে যুদ্ধও করেন তিনি।
কোটনিস বিয়েও করেন এক চিনা সেবিকাকে। তাঁর নাম কিউ কিংলান। ডালিয়ান শহরে গত বছরেই মৃত্যু হয়েছে কিংলানের।
তাঁদের ছেলেও চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রাণ হারান তিনি।
মাও জে দংয়ের এইট রুট আর্মিতেও কাজ করেছেন কোটনিস। তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মাও জে দং। সান ইয়াৎ সেনও তাঁর লেখায় প্রশংসা করেছেন কোটনিসের।
মুম্বইয়ে চিনের প্রিমিয়ার লি খ্যচিয়ং ভারতে এসে দেখা করেছিলেন কোটনিসের ৯২ বছরের বোনের সঙ্গেও।
১৯৪২ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় কোটনিসের। চিনের নানকান প্রদেশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। চিনের পাঠ্যবইয়ে রয়েছে তাঁর কথা।
তাঁর নামে চিনে ডাকটিকিটও রয়েছে। টানা তিন দিন না ঘুমিয়ে প্রায় ৮০০ জন সেনার চিকিৎসা করেছিলেন তিনি, ইতিহাস বলছে এমনটাই। তবে মৃত্যুর আগে চিনে কমিউনিস্ট পার্টিতে তিনি যোগদান করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
চিনের হেবেই প্রদেশে রয়েছে তাঁর মূর্তিও। ২০০৯ সালে চিনে ইন্টারনেটের একটি সমীক্ষায় সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ছিলেন কোটনিস।
চিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কোন্ডাপল্লির মতে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গাঁধী ছাড়া চিন-ভারত সুসম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ কোটনিস। তাই তাঁর পরিবারকেও সম্মান প্রদর্শন করে চিন।