(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দু’দিনের ভারত সফরে সোমবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ভারত সফরের পরে পাকিস্তানেও যাওয়ার কথা রয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রীর। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ অনুসারে, আগামী ২১ অগস্ট দু’দিনের সফরে ইসলামাবাদ সফরে যাবেন তিনি। সেখানে পাকিস্তানের অসামরিক এবং সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রীর।
ইসলামাবাদের সরকারি সূত্র মারফত পাকিস্তানি ওই সংবাদপত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে এই সফরে। বস্তুত, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি পরবর্তী সময়ে ইসলামাবাদের সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। পাকিস্তানের তৈলভান্ডার নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেকের মতে, তৈলভান্ডার নিয়ে ট্রাম্প যত না আগ্রহী, তার চেয়েও বেশি আগ্রহ পাকিস্তানের মাটির নীচে থাকা বিরল খনিজের সম্ভাব্য ভান্ডারে। এ অবস্থায় চিনা বিদেশমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে লাদাখে সংঘর্ষের পাঁচ বছর পরে ভারত এবং চিন উভয় দেশই নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, হিমাচল প্রদেশের শিপকি লা এবং সিকিমের নাথু লা— এই জায়গাগুলি দিয়ে ফের বাণিজ্যের কথা ভাবা হচ্ছে। সীমান্ত বাণিজ্য-আলোচনা নিয়ে ইতিবাচক চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশাসনও। এই আবহে সোমবার ভারতে এসেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর।
ভারত সফরের চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তান যেতে পারেন চিনা বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানি সংবাদপত্রের দাবি, সে দেশের সেনাকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারেন ওয়াং। সে ক্ষেত্রে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠক হয় কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন বৃদ্ধি পেয়েছে।