—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিজের দেশ থেকে সরাসরি আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আক্রমণের হুঁশিয়ারি বহু বারই দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট একনায়ক কিম জং উন। এ বার জানা গেল, আর এক কমিউনিস্ট দেশ চিনের নাগরিকদের মদতে আমেরিকা থেকে গোপনে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চোরাচালানেও যুক্ত তিনি!
উত্তর কোরিয়ায় চোরাপথে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পাচার করার অপরাধে এক চিনা নাগরিককে মঙ্গলবার আট বছর জেলের সাজা দিয়েছে আমেরিকার একটি আদালত। শেংহুয়া ওয়েন নামে ৪২ বছরের ওই চিনা নাগরিক ক্যালিফর্নিয়া থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উত্তর কোরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারের থেকে প্রায় ২০ লক্ষ ডলার (প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। ঘটনার নেপথ্যে সংগঠিত অস্ত্র চোরাচালান চক্রের ‘ভূমিকা’ থাকতে পারে বলে আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
চিনা নাগরিক ওয়েন আমেরিকা ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলে আদালতকে জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। আমেরিকায় আসার আগে তিনি বেজিঙে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে কিম সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। ওই প্রতিনিধিরাই তাঁকে উত্তর কোরিয়ার জন্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের বরাত দিয়েছিলেন। আমেরিকা পৌঁছোনোর পরে ২০২২ সালে উত্তর কোরিয়ার দুই সরকারি কর্তা অনলাইন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ওয়েনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছিলেন। এর পর আমেরিকা থেকে পর্যায়ক্রমে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাচার শুরু হয়েছিল।