বঙ্গোপসাগরে ‘কোবরা বল’, কী পরখ করতে এসেছিল মার্কিন গুপ্তচর বিমান?

পুরো নাম ‘কোবরা বল আরসি-১৩৫এস’। মার্কিন বায়ুসেনার গুপ্তচর বিমান। কিন্তু সে বঙ্গোপসাগরে কেন? সামরিক বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে, ক্যালিফর্নিয়ার এমন একটি সংস্থার দাবি, গত কাল ভারতের উপগ্রহ-বিধ্বংসী (এ-স্যাট) ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা পরখ করতেই এসেছিল বিমানটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ০৩:২০
Share:

কোবরা বল আরসি-১৩৫এস।

বঙ্গোপসাগরের উপরে চক্কর দিচ্ছে ‘কোবরা বল’। জরিপ চলছে আকাশে। সন্ধানী রেডারের পর্দায় চোখ রেখে বসে মার্কিন বায়ুসেনা।

Advertisement

পুরো নাম ‘কোবরা বল আরসি-১৩৫এস’। মার্কিন বায়ুসেনার গুপ্তচর বিমান। কিন্তু সে বঙ্গোপসাগরে কেন? সামরিক বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে, ক্যালিফর্নিয়ার এমন একটি সংস্থার দাবি, গত কাল ভারতের উপগ্রহ-বিধ্বংসী (এ-স্যাট) ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা পরখ করতেই এসেছিল বিমানটি। ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা হিসেবে ব্যবহার করা বাতিল কৃত্রিম উপগ্রহের টুকরো কতটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে, অন্য কী কী প্রভাব পড়েছে, কোনও বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় কি না— সে সবই দেখতে এসেছিল বিমানটি। ভারতের এই পরীক্ষা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এখনও চুপ। মার্কিন বায়ুসেনাও কিছু বলেনি। কারও কারও দাবি, কোবরা বলের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করছে মার্কিন প্রশাসন। সেই ফলাফল দেখেই মন্তব্য করবে তারা।

এমনিতে বুড়ো বিমান ‘কোবরা বল’। বয়স বছর ৫৫। এ রকম মাত্র গোটাতিনেক বিমানই এখনও ব্যবহার করে মার্কিন বায়ুসেনা। ভারত মহাসাগরের বুকে দিয়েগো গার্সিয়ার ঘাঁটি থেকে তেমনই একটি বিমান এসেছিল গত কাল। বেখাপ্পা লম্বা নাকে বসানো রেডার আর নানা রকম উচ্চ ক্ষমতার সেন্সর। ক্ষেপণাস্ত্র উড়লেই নাকি ‘গন্ধ’ পায় ওই নাক। ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ, গতিবেগ-সহ নানা তথ্য চলে আসে তার যন্ত্রে। সেই তথ্য সরাসরি চলে যায় মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা সচিবের কাছে।

Advertisement

কোনও কোনও সূত্রের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদীর নাটকীয় বক্তৃতার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেই এসেছিল মার্কিন গুপ্তচর বিমান। বহু ক্ষণ সেটি চক্কর কাটে বঙ্গোপসাগর এলাকায়। সঙ্গে আসা তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে মাঝ-আকাশে তেলও ভরে এক বার। দিয়েগো গার্সিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে এই বিমান রাখার মূল উদ্দেশ্য অবশ্য উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপরে নজরদারি। তবে গত কাল তার ‘মিশন’ ছিল অন্য।

আমেরিকা কোনও মন্তব্য না করলেও মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নিজস্ব উপগ্রহের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে হলে এখনও অনেক দূর যেতে হবে ভারতকে। ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের ‘ফেলো’ অ্যাশলে জে টেলিস বলেন, ‘‘চিনের ভয়টা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। শান্তির সময় হোক বা যুদ্ধের— ভারতীয় মহাকাশ পরিকাঠামোর নিরাপত্তা নিয়ে এখনও চিন্তা আছে।’’ ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিপিন নারঙ্গও কার্যত একই সুরে জানিয়েছেন, গত কালের পরীক্ষাকে সাংঘাতিক কোনও অগ্রগতির প্রমাণ বলার সময় এখনও আসেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement