Coronavirus

লন্ডনে করোনা-আক্রান্ত বাঙালি চিকিৎসকের মৃত্যু

করোনা-সংক্রমিত হওয়ার দিন পনেরো আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন আব্দুল।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ০২:৩৫
Share:

আব্দুল মাবুদ চৌধুরি

এক মাস আগের কথা। ব্রিটিনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে বারবার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি, দয়া করে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুরক্ষাবস্ত্রের (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই) ব্যবস্থা করা হোক। নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সেই বাঙালি চিকিৎসকের।

Advertisement

৫৩ বছর বয়সি আব্দুল মাবুদ চৌধুরি গত কাল পূর্ব লন্ডনের রমফোর্ডের কুইনস হসপিটালে মারা যান। ১৫ দিন ভর্তি ছিলেন সেখানে। পূর্ব লন্ডনেরই হোমারটন হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম ছিল বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত আব্দুলের। সম্প্রতি ২৫ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন করেছিলেন। তখনও সব কিছু স্বাভাবিক ছিল ব্রিটেনে।

করোনা-সংক্রমিত হওয়ার দিন পনেরো আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন আব্দুল। লিখেছিলেন, ‘সুরক্ষাবস্ত্র বা পিপিই-র মারাত্মক অভাব। দ্রুত কিছু একটা ব্যবস্থা করুন, যাতে এনএইচএস বা ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা সকলে সুরক্ষাবস্ত্র পান।’ আরও লিখেছিলেন, ‘যে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা-আক্রান্তদের সেবা করছেন, তাঁদেরও কিন্তু এই পৃথিবীতে পরিবার, সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গেলেন আব্দুল। এই নিয়ে ১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেলেন ব্রিটেনে।

Advertisement

স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষাবস্ত্রের অভাব নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে ব্রিটেনে। কিছু দিন আগে হ্যারো-র একটি হাসপাতালের তিন নার্সের ছবি ভাইরাল হয়েছিল ইন্টারনেটে। পিপিই-র অভাবে আবর্জনা ফেলার প্লাস্টিক ব্যাগ মাথা জড়িয়ে কাজ করছেন তাঁরা। গত কাল জানা গিয়েছে, ওই তিন নার্সই করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। কোথাও পিপিই নেই, কোথাও অক্সিজেন নেই, করোনা-পরিস্থিতিতে ধুঁকছে ব্রিটেনের হাসপাতালগুলি। এরই মধ্যে তিন রাত কাটানোর পরে আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়েছেন বরিস জনসন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেন্ট টমাস হাসপাতালের ওয়ার্ডে আপাতত ভাল আছেন প্রধানমন্ত্রী।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন