Thomas Schaefer

করোনা সঙ্কটে অবসাদ! আত্মঘাতী জার্মান মন্ত্রী, রেললাইনে দেহ

করোনার প্রকোপে অর্থনীতি নিয়ে শেফার দুশ্চিন্তায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বার্লিন শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ১৮:১৮
Share:

থমাস শেফার। ছবি: এএফপি।

রেললাইনের উপর থেকে উদ্ধার হল জার্মানির এক মন্ত্রীর ছিন্নভিন্ন দেহ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের জেরেই থমাস শেফার নামের ওই মন্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জল্পনা। জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

Advertisement

শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনজের মধ্যবর্তী হোচাইম শহরে হাইস্পিড ট্রেন লাইনের উপর থেকে শেফারের ছিন্নভিন্ন দেহটি উদ্ধার হয়। প্যারামেডিকসের একটি দলই তাঁর দেহটি উদ্ধার করেন। গোটা দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রথমে তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি।

চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েই তিনি আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রকোপ থেকে অর্থনীতিকে কী ভাবে বাঁচাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন ৫৪ বছরের শেফার। করোনা ঠেকাতে আর্থিক সহায়তা নিয়ে সম্প্রতি বিবৃতিও দিতে দেখা যায় তাঁকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে ব্যাঙ্ক-এটিএম স্বাভাবিক, অর্থমন্ত্রীকে আশ্বাস ব্যাঙ্ককর্তাদের​

আরও পড়ুন: লকডাউন নিশ্চিত করতে সীমানা সিল করুন, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের​

শেফারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন হেসে প্রদেশের প্রধান ভলকার বুফিয়ের। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘অত্য়ন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না।’’

দীর্ঘ ১০ বছর হেসের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন শেফার। কী ভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে দিন-রাত তিনি কাজ করছিলেন বলেও জানান বুফিয়ের। তিনি বলেন, ‘‘নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন উনি। এই কঠিন সময়ে ওঁর মতো এক জনকে খুব দরকার ছিল আমাদের।’’

দীর্ঘ দু’দশক ধরে হেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেফার। চ্যান্সেলর অ্যাজেলা মের্কেলের সেন্টার রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ)-এর সদস্য ছিলেন তিনি। বুফিয়েরের উত্তরসূরি হিসাবেও তাঁকে ভেবে রেখেছিলেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন