UK

ব্রিটেনে মৃত বেশি দক্ষিণ-এশীয়রাই

করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে কী ঘটছে, তা জানতে মে মাসের মাঝামাঝি একটি সমীক্ষা হয় ব্রিটেনে। ২৬০টি হাসপাতালের ৩৫ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর তথ্য নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়।

Advertisement

শ্রাবণী বসু 

লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ০৬:০৯
Share:

ফাইল চিত্র

ব্রিটেনে করোনা-আক্রান্ত ৩ লাখেরও বেশি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মৃত্যু বেশি হচ্ছে দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূতদের। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলেস জুড়ে হওয়া একটি সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

Advertisement

করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে কী ঘটছে, তা জানতে মে মাসের মাঝামাঝি একটি সমীক্ষা হয় ব্রিটেনে। ২৬০টি হাসপাতালের ৩৫ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর তথ্য নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে— ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতদের মৃত্যুহার বেশি। শ্বেতাঙ্গদের থেকে তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রেও মৃত্যুহার বেশি, তবে দক্ষিণ-এশীয়দের মতো নয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-এশীয়দের মধ্যে ডায়াবিটিসের মাত্রা বেশি। জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্টটি।

এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউয়েন হ্যারিসন বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে দক্ষিণ-এশীয়দের মৃত্যুহার ২০ শতাংশ বেশি। তবে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এত মারাত্মক নয়।’’ গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী: ১) হাসপাতালে ভর্তির পরে হাজার জন শ্বেতাঙ্গের মধ্যে মারা যাচ্ছেন গড়ে ২৯০ জন। ২) হাসপাতালে ভর্তির পরে হাজার জন দক্ষিণ-এশীয়ের মধ্যে মারা যাচ্ছেন গড়ে ৩৫০ জন। হ্যারিসন জানান, হাসপাতালে ভর্তি দক্ষিণ-এশীয়দের গড় বয়স অন্য করোনা-আক্রান্তদের তুলনায় অন্তত ১২ বছর কম। তাঁদের ডিমেনশিয়া নেই, ফুসফুসের রোগ নেই, তাঁরা মোটা নন, কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি। ৪০ শতাংশ দক্ষিণ-এশীয়ের হয় টাইপ-ওয়ান, নয়তো টাইপ-টু ডায়াবিটিস রয়েছে। শ্বেতাঙ্গদের সেখানে সংখ্যাটা ২৫ শতাংশ। ডায়াবিটিস থাকলেই সংক্রমণের বিপদ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাতে করোনা-রোগীর মত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, কিছুটা জিনগত প্রভাব রয়েছে বলেও জানান হ্যারিসন।

Advertisement

বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রান্ত একাধিক গবেষণা চলছে। ইটালিতে এমন এক গবেষণায় দাবি করা হল, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই সে দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর নাকি মিলান ও তুরিনের খালের জলে ভাইরাসের উপস্থিতির চিহ্ন মিলেছিল। ইটালিতে প্রথম সংক্রমণের খবর মিলেছিল মধ্য-ফেব্রুয়ারিতে। বিজ্ঞানীদের দাবি, তার বহু আগেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস। গত বছর অগস্ট মাসে চিনে প্রথম সংক্রমণ ঘটেছিল বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। চিন অবশ্য অস্বীকার করেছে। ফরাসি বিজ্ঞানীরাও দাবি করছেন, প্যারিসে ২৭ ডিসেম্বর এক রোগীর নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল। ওই রোগী আসলে করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্পেনের একটি রিপোর্টও বলছে, মাঝ-জানুয়ারিতে তাদের নিকাশি নালার জলে ভাইরাসটির উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন