International News

করোনাভাইরাসের টিকা! আশা জাগালেন অনাবাসী ভারতীয়

চিনের বাইরে গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস তৈরি করেছে যে গবেষকদল, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৪৮
Share:

ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট এস এস ভাসিন। ছবি- ফেসবুকের সৌজন্যে।

করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বাজারে আসার সম্ভাবনা জোরালো করে তুললেন এক ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট। অধ্যাপক এস এস ভাসিন।

Advertisement

চিনের বাইরে গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস তৈরি করেছে যে গবেষকদল, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসিন। এই করোনাভাইরাস কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যাতে মানুষের উপর পরীক্ষার আগে টিকা তৈরির জন্য ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার (প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ) পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া যায়। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস দ্রুত তার রূপ বদলে নেয়। তাদের পরিবারের সদস্যও অনেক। তাদের অনেকটা একই রকম দেখতে। কিন্তু তারা অবিকল একই রকমের নয়। তাদের আচার, আচরণও আলাদা।

তাই টিকা তৈরির আগে তাদের নিয়ে গবেষণা খুব জরুরি। কারণ, একটি টিকা কোনও এক রকমের করোনাভাইরাস সংক্রমন সারাতে সহায়ক হতে পারে। আবার তা ব্যর্থ হতে পারে আর এক ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে।

Advertisement

সেই গবেষণা হবে অস্ট্রেলিয়ার ‘কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও)’-এর গবেষণাগারে। যেখানে ‘ডেঞ্জারাস প্যাথোজেন্‌স টিম’-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসান।

গত সপ্তাহেই মানুষের শরীর থেকে প্রথম করোনাভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘ডোহার্টি ইনস্টিটিউটে’র গবেষকরা। ভাসিনের নেতৃত্বে সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কৃতিত্ব, তাঁরাই টিনের বাইরে প্রথম কৃত্রিম ভাবে করোনাভাইরাসের বাড়-বৃদ্ধি ও দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পেরেছেন। তার ফলে, তৈরি হয়েছে অসংখ্য করোনাভাইরাস। গবেষণার জন্য যা খুব প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- করোনার আতঙ্কে চিন যাত্রা বাতিল, কমছে উড়ানও​

আরও পড়ুন- রূপ পাল্টে মারাত্মক হয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস​

‘‘করোনাভাইরাসের টিকা বানানোর গবেষণা তো আর শুধুই অস্ট্রেলিয়ায় হবে না। সেই গবেষণা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রয়োজন কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা করোনাভাইরাস। আমাদের কাজ সেই গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসের অভাব মেটাতে সাহায্য করবে’’, বলেছেন ভাসান।

চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যেই অন্য দেশে বসে এই সাফল্য পাওয়ার জন্য ভাসান কৃতিত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডোহার্টি ইনস্টিটিউটকে। জানিয়েছেন, মানুষের শরীর থেকে আলাদা করার পরেই করোনাভাইরাসকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছিল সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কাছে। তার ফলে, কৃত্রিম ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানোর কাজটা এত অল্প সময়ে করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।’’

পিলানির ‘বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (বিআইটিএস)’ এবং বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)’-তে পড়াশোনার পর ‘রোডস স্কলারশিপ’ নিয়ে ভাসান পড়তে যান অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে। সেখান থেকে পিএইচডি করার পর ভাসান ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জিকার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন অক্সফোর্ডেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন