Mayanmar

মায়ানমারে অভ্যুত্থান অপরিহার্য ছিল, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দাবি সেনাপ্রধানের

সেনার ফেসবুক পাতায় বলা হয়েছে, ‘বহু বার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সে কারণেই আমরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইয়াঙ্গন শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৯:০০
Share:

মায়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হাইং। ফাইল চিত্র।

দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ‘অপরিহার্য’ ছিলই। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন মায়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হাইং। সে দেশে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনার পর এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।

Advertisement

সেনার ফেসবুক পাতায় সেনাপ্রধানের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘বহু বার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। সে কারণেই আমরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হলাম’। ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে সু চি-র সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে একটা টানাপড়েন চলছিল। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি(এনএলডি)। সোমবার সংসদের অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। সোমবার মায়ানমারে হঠাৎই দেশের ক্ষমতা দখলে নেয় সেনা। আউং সাং সু চি এবং এনএলডি-র বহু নেতাকে আটক করে তারা।

দীর্ঘ দেড় দশক বন্দিদশা কাটিয়ে ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেশের নেত্রী নির্বাচিত হন সু চি। কিন্তু দেশের পশ্চিমে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উচ্ছেদ এবং গণহত্যার অভিযোগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মহলে সু চি-র ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও দেশীয় রাজনীতিতে আগের মতোই জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে সম্প্রতি আঙুল উঠতে শুরু করে তাঁর দিকে। দেশের নির্বাচন কমিশন যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সংবিধান এবং আইন রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের হাতেই বলে শনিবারই ঘোষণা করে সে দেশের সেনা। তার পর থেকেই অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শেষমেশ হলও তাই।

Advertisement

অন্য দিকে, মায়নামারের সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আমেরিকা। সু চি-সহ দেশের অন্য রাজনীতিকদের মুক্তি না দিলে এবং ক্ষমতা ফিরিয়ে না দিলে মায়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার হুমকি দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। ময়ানমারের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন