Cyclone

২২ লক্ষ মানুষকে সরাল বাংলাদেশ

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে ২২ লক্ষ মানুষকে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ঢাকা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৩:৪১
Share:

উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের।—ছবি এএফপি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লড়াইয়ের মধ্যেই দক্ষিণের সাগর থেকে উঠে আসা সুপার সাইক্লোন মোকাবিলায় উঠে পড়ে লেগেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর বলেছে, ঘূর্ণিঝড় আমপান বুধবার উপকূল অতিক্রম করার সময়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট থেকে ফেনি ও চট্টগ্রাম জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল বর্ষণে কাঁচা ঘরবাড়ি, ফসল ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সাগরতীরের নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

Advertisement

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে ২২ লক্ষ মানুষকে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। তিনি জানান, “আশ্রয়কেন্দ্রে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব রজায় রেখে থাকতে বলা হয়েছে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এমনিতেই সারা দেশে ‘সাধারণ ছুটি’-র অংশ হিসেবে যাত্রিবাহী নৌযান চলাচল ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ। তবে পণ্যবাহী নৌযান চলছিল। এখন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় সব ধরনের নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ লোককে সরালো প্রশাসন, কাল বাড়ির বাইরে বেরবেন না: মমতা

ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা নৌ-অঞ্চলে ২৫টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোতায়েন হয়েছে নৌবাহিনীর দু’টি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্র্যাফট এবং দু’টি হেলিকপ্টারও। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বন্দরে কন্টেনার ওঠানো-নামানোর কাজ চালু থাকলেও পণ্য খালাস সম্পূর্ণ বন্ধ।

আরও পড়ুন: ঝিরঝিরে বৃষ্টি-দমকা হাওয়া, আমপানের প্রভাব শুরু দিঘায়, প্রস্তুত প্রশাসনও

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন