International News

ফণীর প্রভাবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি বাংলাদেশেও, সতর্ক প্রশাসন

ঢাকার পাশাপাশি, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলবর্তী অঞ্চল কয়রায় এ দিন দুপুর থেকেই প্রবল ঝড় বইতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গতিও বাড়তে থাকে। শুরু হয় বৃষ্টিপাতও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ১৬:৪০
Share:

ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশে বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টিও। —নিজস্ব চিত্র।

কোথাও বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও বা শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। কোথাও আবার বেড়েছে জোয়ারের জলস্তর। সরকারি ভাবে বাংলাদেশে এখনও প্রবেশ করেনি ‘ফণী’। তবে তার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে ঢাকা, খুলনা, কয়রা, বরগুনা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। জোয়ারের ফলে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল দাকোপ ও কয়রায় জলস্তরের উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে। ওই এলাকার ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে জোয়ারের জল। এর আগেও আয়লার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছেবাংলাদেশ। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বার বাংলাদেশে ঢোকার আগেই অনেকটাই শক্তি হারাবে ফণী। তা সত্ত্বেও, ফণীর তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে সর্তক বাংলাদেশ

Advertisement

শুক্রবার সকালে ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয় রাজধানী ঢাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় কুড়ি দিন পর বৃষ্টি হল সেখানে। ফলে প্রবল দাবদাহে হাঁসফাঁস করা নগরবাসীকে তা স্বস্তি দিলেও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার পাশাপাশি, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলবর্তী অঞ্চল কয়রায় এ দিন দুপুর থেকেই প্রবল ঝড় বইতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার গতিও বাড়তে থাকে। শুরু হয় বৃষ্টিপাতও।

এ দিন সকালেই ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে আছড়ে পড়ে ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। তার পরিবর্তে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ওড়িশায় ফণীর দাপট দেখা যায়। ওড়িশায় তাণ্ডব চালানোর পর তটরেখা ধরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে তা বাংলাদেশের দিকে এগোবে ফণী।কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামিকাল ৪ মে, শনিবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ফণী। এর পর সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশ জুড়েই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রায় দক্ষিণ বেদকাশীতে জেলা প্রশাসনের তরফে ন’টি আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে চলে যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে তাতে আগ্রহী ছিলেন না অনেকেই। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কয়রায় প্রবল ঝড় শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় ওই কেন্দ্রগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন: ভয়াল-ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলায় লন্ডভন্ড পুরী-ভুবনেশ্বর, যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শুরু উদ্ধারকাজ

আরও পড়ুন: সন্ধে থেকে রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি, কিছুটা দুর্বল হয়ে ১১৫ কিমি বেগে ভোররাতেই ছোবল মারবে ফণী

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামিকালের পূর্বনির্ধারিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। আগামী ১৪ মে ওই পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন