পারিবারিক হিংসার অভিযোগে টালমাটাল হোয়াইট হাউস। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে এ বার ইস্তফা ঘোষণা করলেন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা ডেভিড সোরেনসন।
গত সপ্তাহে ইস্তফা দেন হোয়াইট হাউসের সেক্রেটারি অব স্টাফ রব পোর্টার। পোর্টারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে সরব হয়েছিলেন তাঁর দুই প্রাক্তন স্ত্রী। এ বার সামনে এল সোরেনসনের কেচ্ছা। প্রেসিডেন্ট নিজে এ সবে না জড়াতে চাইলেও হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস-সচিব রাজ শাহ বলেন, ‘‘সোরেনসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কথা মঙ্গলবার জানতে পারি। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।’’
কিন্তু প্রেসিডেন্ট কেন চুপ— প্রশ্ন উঠছে ঘরে-বাইরে। ট্রাম্পের যাবতীয় বক্তৃতার খসড়া লিখে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন সোরেনসন। সম্প্রতি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী জেসিকা করবেট নির্যাতনের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে ওই লোকটা মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা, পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া, চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ঠেসে ধরা— কী করেনি!’’ সোরেনসন অবশ্য সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন। তা হলে ইস্তফা দিলেন কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘হোয়াইট হাউস কালিমালিপ্ত হোক, এটা চাইনি।’’
রব পোর্টারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে জোর শোরগোল দেশে। অভিযোগ, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি আগে জেনেও চুপ ছিলেন। পোর্টার ইস্তফা দেওয়ার পরে ট্রাম্পও তাঁর কাজের প্রশংসা করেন। ডেমোক্র্যাটদের দাবি— নারী নির্যাতন বা পারিবারিক হিংসার অভিযোগকে খাটো করে দেখাটাই অভ্যাসে পরিণত করেছেন প্রেসিডেন্ট।