International News

ইতালিতে মৃত শিখদের দেহ ফেরাতে নির্দেশ জয়শঙ্করের

একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই সময় গোবর প্ল্যান্টে নামা এক জন শ্রমিক বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টায় গোবরের ট্যাঙ্কে নেমেছিলেন আরও তিন পঞ্জাবি। তাঁদেরও মৃত্যু হয় বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:৫২
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

ইতালিতে একটি গোবরের ট্যাঙ্কে সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত চার জন পঞ্জাবির দেহগুলি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রোমে ভারতীয় দূতাবাসকে নির্দেশ দিল বিদেশমন্ত্রক। শনিবার তাঁর টুইটে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘যত রকম ভাবে সহযোগিতা করা যায়, ইতালির ভারতীয় দূতাবাসকে তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মিলান থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে উত্তর ইতালির পাভিয়া শহরে একটি ডেয়ারির গোবরের ট্যাঙ্ক সাফাইয়ের কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই সময় গোবর প্ল্যান্টে নামা এক জন শ্রমিক বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টায় গোবরের ট্যাঙ্কে নেমেছিলেন আরও তিন পঞ্জাবি। তাঁদেরও মৃত্যু হয় বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে।

মৃতদের দেহগুলিকে অবিলম্বে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়ে এ দিন একটি টুইট করেছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। অমরেন্দ্রের সেই টুইটটিকেই রি-টুইট করে এ দিন ইতালির ভারতীয় দূতাবাসকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলার খবরটি দেন বিদেশমন্ত্রী।

Advertisement

ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমের খবর, অনুমান করা হচ্ছে, গোবর থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জন পঞ্জাবি শ্রমিকের।

আরও পড়ুন- ড্রোন হানায় দাউদাউ জ্বলছে সৌদির তেলের খনি, সন্দেহের তির ইরানের দিকে​

আরও পড়ুন- বিজনেস ট্রিপে গিয়ে যৌন মিলনের সময় মৃত্যু, ‘কর্মস্থলে দুর্ঘটনা’ বলে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ আদালতের!​

বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মৃতদের দেহগুলি সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের নাম, প্রেম সিংহ (৪৮), তারসেম সিংহ (৪৫), অরমিন্দর সিংহ (২৯) ও মাজিন্দর সিংহ (২৮)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে প্রেম ও তাঁর ভাই তারসেম ওই ডেয়ারির মালিক। দু’বছর আগে তাঁদের ডেয়ারিটির সরকারি নথিভুক্তিকরণ হয়েছিল। বাকি দু’জন শ্রমিক। গোবরের ট্যাঙ্ক সাফাই করার জন্য যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল।

মৃত শ্রমিকরা বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে না আসায় তাঁদের স্ত্রীরাই প্রথম বিষয়টি নজরে আনেন কর্তৃপক্ষের। নিজেরাও চলে যান ঘটনাস্থলে। ডাকেন দমকলকর্মীদের। তাঁরাই দেহগুলি উদ্ধার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন