(বাঁ দিকে) বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র পদে পদে বাধার মুখে পড়ছে! এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশে দ্রুত সাধারণ নির্বাচনের দাবি ধারাবাহিক ভাবে সরব রয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির দ্বন্দ্ব বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। এই অবস্থায় খালেদার এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারের নামোল্লেখ করেননি খালেদা। তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেত্রীর মন্তব্য মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন অনেকে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, বৃহস্পতিবার ঢাকার রমনায় বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান বক্তৃতার সময়েই বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে ওই মন্তব্য করেন খালেদা। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জিয়াউর রহমান শাহাদাতবরণ করেছেন, সে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা আজ পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।” বাংলাদেশবাসী দ্রুত গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখতে পাবেন বলেও প্রত্যয়ী বিএনপি নেত্রী। খালেদা বলেন, “শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক আমাদের অঙ্গীকার।” দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশবাসীকে এগিয়ে আসার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচিত সরকার বেছে নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে গত কয়েক মাস ধরে। বিএনপি ধারাবাহিক ভাবে এই দাবি তুলে আসছে। তবে বিএনপি নেত্রী শারীরিক সমস্যার জন্য গত জানুয়ারি মাস থেকে ব্রিটেনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চলতি মাসেই বাংলাদেশে ফিরেছেন। চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে এই প্রথম প্রকাশ্য মন্তব্য করলেন তিনি।
ঘটনাচক্রে, বুধবার ইউনূসের মুখে ফের এক বার শোনা গিয়েছে নির্বাচনী সংস্কারের কথা। তিনি বলেন, “যদি সংস্কারের কাজ ধীর গতিতে চলে এবং কম ফলদায়ক হয়, তা হলে আমাদের বেশি সময় লাগবে। তবে এই দীর্ঘ সময় অন্তহীন হবে, এমন নয়। এটাকে (সংস্কার) ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।”