তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ফের টুইটারে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ছবি: রয়টার্স।
দুর্নীতি, বিচার প্রক্রিয়ায় বাধাদান এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে আদৌ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হচ্ছে তদন্ত। এ নিয়ে আজই মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুমতি পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। তদন্তের স্বার্থে ট্রাম্প পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিনের ব্যবসা-সঙ্গী অ্যালেন ইউজেলবার্গের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হবে বলে আজ জানালেন মার্কিন হাউস জুডিশিয়ারি কমিটি-র চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার। তাঁর বক্তব্য, প্রয়োজনীয় নথির সংখ্যা ৮১টি। তিনি এক মার্কিন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, তদন্তে আপাতত নিশানা করা হচ্ছে মোট ৬০ জনকে।
তবে তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ফের টুইটারে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। সেই তদন্তে পদে পদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন ক্যাপিটল হিলে এ নিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ট্রাম্প নিজে অবশ্য টুইট করে বলেছিলেন, ‘‘আমি নির্দোষ। কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এ ভাবে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চান, যার অনুমতি কখনওই দেওয়া উচিত নয়।’’