Greenland

ট্রাম্পের কারণেই ব্রাত্য পেন্টাগন? মার্কিন সেনাকে আমন্ত্রণ না করে গ্রিনল্যান্ডে যুদ্ধমহড়া ডেনমার্কের

ডেনমার্ক সেনার আর্কটিক কমান্ডার সোরেন অ্যান্ডারসেন বুধবার জানিয়েছেন যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, কোনও মার্কিন সামরিক ইউনিটকে যুদ্ধ মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:০৬
Share:

গ্রিনল্যান্ডে সামরিক মহড়া শুরু করল ডেনমার্ক। ছবি: রয়টার্স।

পেন্টাগনকে ‘ব্রাত্য করেই’ গ্রিনল্যান্ডে সামরিক মহড়া শুরু করল ডেনমার্ক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, আর্কটিক লাইট ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য ডেনমার্ক মার্কিন সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায়নি। যদিও আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্রটি এর আগে গ্রিনল্যান্ডে অনেক বারই আমেরিকা সেনার সঙ্গে যৌথ যুদ্ধমহড়া করেছে।

Advertisement

ডেনমার্কের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী ‘গ্রিনল্যান্ড নীতি’কে দায়ী করছেন অনেকে। ডেনমার্ক সেনার আর্কটিক কমান্ডার সোরেন অ্যান্ডারসেন বুধবার জানিয়েছেন যে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, কোনও মার্কিন সামরিক ইউনিটকে যুদ্ধ মহড়ায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারপর্বে গ্রিনল্যান্ডকে আমেরিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকেই নতুন করে ওয়াশিংটন-কোপেনহাগেন টানাপড়েনের সূচনা। দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসের ‘দখল’ নিশ্চিত হওয়ার পরে ট্রাম্প দিয়েছিলেন বলপ্রয়োগের হুঁশিয়ারিও। সে সময় রিপাবলিকান নেতার ওই হুমকির প্রতিবাদ করেছিলেন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরাও।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ট্রাম্প গত কয়েক মাসে একাধিক বার ডেনমার্ক দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৬ হাজার জনসংখ্যার ‘বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ’ প্রায় ৩০০ বছর ধরে কোপেনহাগেনের নিয়ন্ত্রণে। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি পরিচালনা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করেন। আর বিদেশ এবং প্রতিরক্ষানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি নেয় ডেনমার্ক সরকার। কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম মেয়াদেই দেশের পরিসর বাড়াতে কানাডার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে কিনতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ওই ‘স্বশাসিত’ দ্বীপের উপর অধিকার ছাড়তে রাজি হয়নি ইউরোপীয় দেশ ডেনমার্ক। গ্রিনল্যান্ডের উপর তাদের অধিকার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement