একযোগে পদত্যাগের নির্দেশ ৪৬ অ্যাটর্নিকে

এক ধাক্কায় ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে পদত্যাগ করতে বলে নয়া বিতর্কে জড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘হাই-প্রোফাইল’ অ্যাটর্নি প্রীত ভারভারাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ০২:২২
Share:

এক ধাক্কায় ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে পদত্যাগ করতে বলে নয়া বিতর্কে জড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘হাই-প্রোফাইল’ অ্যাটর্নি প্রীত ভারভারাও। মাস তিনেক আগে প্রেসিডেন্ট নিজেই যাঁকে থেকে যেতে বলেছিলেন। রাতের খবর, পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন প্রীত।

Advertisement

৯৩-এর মধ্যে দেশের ৪৭ জন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেছিলেন আগেই। বারাক ওবামার আমলে নিযুক্ত বাকিদেরও এ বার একযোগে ইস্তফা দিতে বললেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স।

রাতারাতি কেন এই নির্দেশ? অ্যাটর্নিরা যে হেতু রাজনৈতিক ভাবে নিযুক্ত হন, তাই প্রশাসন বদলের পরে এমনটাই দস্তুর বলে দাবি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের। দফতরের মুখপাত্র সারাহ ইসগুর ফ্লোরস বলেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে সার্বিক ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বার্থেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিল ক্লিন্টন এক দিনে সব অ্যাটর্নিকে সরে যেতে বলেছিলেন। জর্জ ডব্লিউ বুশও তাই। প্রাক্তন এই দুই প্রেসিডেন্টের তুলনা টেনেই আপাতত নিজের পক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসন।

Advertisement

বিতর্ক তবু থাকছেই। সূত্রের খবর, পরবর্তী অ্যাটর্নি নিয়োগের কাজ এখনও বিস্তর বাকি। এমনকী মনোনীত প্রার্থীদের নামও জমা পড়েনি ট্রাম্পের টেবিলে। তার আগেই ইস্তফা দিতে বলা হল ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাই দেশের সার্বিক বিচারব্যবস্থা নিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নিউ ইয়র্কের সেনেটর চার্লস স্কুমার। তাঁর কথায়, ‘‘যে সব মামলার বিচার চলছিল, প্রশাসনের নির্দেশে এ বার বুঝি তা-ও ভেস্তে গেল।’’ প্রেসিডেন্ট নিজেই বিচারব্যবস্থায় বাগ়ড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট যদিও জানিয়েছে, নয়া অ্যাটর্নি নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুরনোরাই দায়িত্ব পালন করে যাবেন। যদিও প্রীত ভারভারাকে কেন ইস্তফা দিতে বলা হল, তা নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি হোয়াইট হাউস কিংবা জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। ২০০৯-এ তাঁকে নিউ ইয়র্কের সাদার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি পদে নিযুক্ত করেন বারাক ওবামা। দেশে তো বটেই, আইনজীবী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলেও অতি পরিচিত নাম ভারভারা। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাক্সের পরিচালন পর্ষদে থাকাকালীন তথ্য পাচারের অভিযোগে ২০১২-য় ভারতীয় বংশোদ্ভূত রজত গুপ্তকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে তাঁরই হাত ছিল। আন্তর্জাতিক বহু মামলাতেও দেশের হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। আর ঠিক সেই কারণেই গত নভেম্বরে ট্রাম্প টাওয়ারে বৈঠকের পর তাঁকে স্বপদে থেকে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নয়া নির্দেশিকার জেরে এ বার সরতে হচ্ছে তাঁকেও। কিন্তু কেন? ধন্দের মধ্যে রয়েছেন ভারভারা। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টেরই অন্য একটি সূত্রে যদিও খবর, ট্রাম্প নিজেই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ফোন করে ভারভারার ইস্তফাপত্র নিতে বারণ করে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন