International News

কাশ্মীর, সিএএ নিয়ে ফের মার্কিন চাপ

গত কয়েক মাস ধরে প্রথমে কাশ্মীর এবং পরে এনআরসি-সিএএ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্বস্তি বাড়ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩২
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত সচিব অ্যালিস ওয়েলস।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পরে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত সচিব অ্যালিস ওয়েলস। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে রাইসিনা আলোচনায় উপস্থিত থাকার পরে ফিরে গিয়ে যে বিবৃতিটি তিনি দিয়েছেন, তাতে জম্মু-কাশ্মীরের বন্দি নেতাদের দ্রুত মুক্তি দিতে ফের আর্জি জানালেন ওই মার্কিন কূটনীতিক। পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়েও সরব হলেন অ্যালিস। তাঁর কথায়, ‘‘ভারত সফর করার ফলে সুযোগ হল সে দেশের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কী কী ঘটছে তা শোনার ও বোঝার। আমার ধারণা হয়েছে যে বিষয়টি সে দেশের গণতান্ত্রিক পরিসরে কঠিন নিরীক্ষার মধ্যে পড়েছে। তা সে রাস্তাতেই হোক, বা রাজনৈতিক বিরোধীদের আন্দোলনে, সংবাদমাধ্যমে বা আদালতে। আইনে সবাইকে সমান সুরক্ষা দেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সর্বদাই সওয়াল করে যাব।’’

Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে প্রথমে কাশ্মীর এবং পরে এনআরসি-সিএএ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্বস্তি বাড়ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। দেশের ভিতরে প্রতিবাদ যত বাড়ছে, সেই সঙ্কেত পৌঁছে যাচ্ছে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে। কাশ্মীর নিয়ে যাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয় সে জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বেজিং। তারা সে কাজে সফল না হলেও, নিজেদের ভাবমূর্তি অটুট রাখতে রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে সাউথ ব্লককে। বিভিন্ন রাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের প্রধান কাজই এখন সংশ্লিষ্ট দেশের নেতৃত্বকে ভারতের নাগরিকত্ব নীতি বোঝানো। তারই মধ্যে অ্যালিস ওয়েলসের এই বিবৃতি কপালে ভাঁজ ফেলেছে ভারতীয় কূটনীতিকদের।

সম্প্রতি অন্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতও উপত্যকায় সফর করে এসেছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে অ্যালিস বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরে কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে দেখে আমরা খুশি। ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ভাবে চালু হয়েছে। অন্যান্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতও জম্মু-কাশ্মীর ঘুরে এসেছেন। এটা জরুরি ছিল।’’ ওয়েলসের বক্তব্য, ‘‘তবে আমরা এখনও ভারত সরকারকে বলে চলেছি যে আমাদের কূটনীতিকদের সেখানে নিয়মিত যেতে দেওয়া হোক। কোনও অপরাধ ছাড়াই যে সব রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হোক।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রতিবাদের মধ্যেই চুক্তি সই জাইরের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন