টেপের হুঁশিয়ারি ব্যুমেরাং ট্রাম্পের

কোমিকে নিয়ে ট্রাম্পের মাথাব্যথা কমছে না কিছুতেই। এফবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে ছেঁটে ফেলার ঠিক দু’দিনের মাথায় জেমস কোমিকে ফের একহাত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ০৩:০০
Share:

কোমিকে নিয়ে ট্রাম্পের মাথাব্যথা কমছে না কিছুতেই।

Advertisement

এফবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে ছেঁটে ফেলার ঠিক দু’দিনের মাথায় জেমস কোমিকে ফের একহাত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের কথোপকথনের অডিও টেপ থাকতে পারে বলে টুইটারে প্রচ্ছন্ন একটা হুমকিও দিয়েছিলেন। এ বার সেটাই ফিরে এল ব্যুমেরাং হয়ে। প্রেসিডেন্টের কাছে সত্যিই যদি এমন কোনও টেপ থেকে থাকে, অবিলম্বে তা মার্কিন কংগ্রেসের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তুললেন সেনেটররা। আর তা না হলে, কোমির উত্তরসূরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবল বাগড়া দেওয়া হবে বলেও আজ সুর চড়িয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।

ট্রাম্প-শিবির তবু অনড়ই। ‘টেপ’ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই রয়েছে হোয়াইট হাউস। কোমিকে রাতারাতি বরখাস্ত করা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সর্বত্র, তাতেও যেন বিশেষ হেলদোল নেই তাঁদের। উল্টে রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি প্রকাশ্য সভাতেই মন্তব্য করে বসলেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের সিইও। ইচ্ছে হলে যাঁকে খুশি ছেঁটে ফেলতে পারেন তিনি।’’ নিউ ইয়র্কের সেই সভায় তাঁর সামনে তখন এক ঝাঁক বিদেশি কূটনীতিক। হ্যালি তবু বলেই গেলেন, ‘‘যেমনটা অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট কোনও ভাবেই কোমির কাছে আনুগত্য দাবি করেননি। আসলে তিনি কাজ করছেন বলেই চোখ টাটাচ্ছে বিরোধীদের।’’

Advertisement

‘টেপ’ বিতর্ক নিয়ে অবশ্য শুধু বিরোধী শিবির নয়, সুর চড়িয়েছে প্রেসি়ডেন্টের নিজের দলও। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও আজ বলেন, ‘‘এমন কোনও টেপ আছে কি না, তা স্পষ্ট করা উচিত হোয়াইট হাউসের। প্রয়োজনে তা কংগ্রেসের হাতে তুলে দিতেও বাধ্য প্রেসিডেন্ট।’’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোমির দুই সহকর্মীকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি এক মার্কিন দৈনিকে খবর বেরিয়েছিল, হোয়াইট হাউসে আসার ঠিক সাত দিনের মাথায় এফবিআই ডিরেক্টরকে নৈশভোজে ডেকেছিলেন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন ভোটে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে কোমি তখন জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছেন। আর ট্রাম্প নাকি সেই সূত্রেই কোমিকে তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার আর্জি জানান। কিন্তু কোমি তাতে রাজি হননি।

সেই কারণেই তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল কি না, প্রশ্ন উঠতেই টুইটারে মুখ খোলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট। সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়েও কোমিকে হুমকি দেন ট্রাম্প।

নিশ্চিত যেমন করেনি, হোয়াইট হাউস এই টেপের অস্তিত্ব অস্বীকারও করেনি। কিন্তু বিপদ বুঝে ট্রাম্প যদি নিজেই তা নষ্ট করে ফেলে থাকেন? সেই আশঙ্কা নিয়ে ডেমোক্র্যাট সেনেটর চার্লস শ্যুমার বলেন, ‘‘এমনটা হয়ে থাকলে তা নিশ্চিত ভাবেই আইন লঙ্ঘন। আর এমন কোনও টেপ না থাকলে মানুষকে অকারণে বিভ্রান্ত করার জন্যও ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রেসি়ডেন্টের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন