Russia-Ukraine War

‘বড় অগ্রগতি হবে’! জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে রাশিয়া নিয়ে দাবি ট্রাম্পের, কিসের ইঙ্গিত, জল্পনা

শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইতি টানতেই পদক্ষেপ তাঁর। তার পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট ট্রাম্পের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ২০:৫৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ওয়াশিংটনে সোমবার (স্থানীয় সময়) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাঁর আগে রাশিয়া নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন তিনি। ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া নিয়ে বড় অগ্রগতি হবে!

Advertisement

শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ইতি টানতেই পদক্ষেপ তাঁর। দুই রাষ্ট্রনেতাই ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠকের কথা জানালেও সেখানে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও রফাসূত্র মেলেনি। আলাস্কার বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্টের পাঁচটি দাবি শুনে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিনিময়ে বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা করতে রাজি হয়েছে রাশিয়াও। আপাতত তাদের পাঁচটি দাবি নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের দর কষাকষির পালা। অনেকের মতে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার পাঁচ দাবি মানতে রাজি করাতে পারলেই ইতি পড়তে পারে দুই দেশের মধ্যে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে।

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরই জ়েলেনস্কিকে ফোন করেন ট্রাম্প। আলোচনা হয় কিছু বিষয় নিয়ে। তার পরেই জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, সোমবার তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। সেই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের মাঝেই রাশিয়া নিয়ে ‘বড় অগ্রগতি’র ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। তিনি এ-ও জানান, নজর রাখুন। অর্থাৎ, রাশিয়া নিয়ে বড় কিছু ঘোষণা হতে পারে। তবে কী ব্যাপারে এই পোস্ট, হঠাৎ কেন এই কথা বললেন— তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

Advertisement

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো মুখ খুলেছিলেন আলাস্কার বৈঠক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের জন্য অগ্রগতি ঘটাতে পারে।’’ তবে আদৌ শান্তিচুক্তি হবে না কি অচলাবস্থা থেকেই যাবে, তা অনেকটা নির্ভর করছে সোমবারের বৈঠকের উপর। যদিও রুবিয়ো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি শান্তিচুক্তি না হয় তবে রাশিয়াকে অতিরিক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রীও এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে অনেকের মতে, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে আমেরিকা।

উল্লেখ্য, সোমবারের বৈঠকে শুধু জ়েলেনস্কি নন, থাকবেন বেশ কয়েক জন ইউরোপীয় নেতাও। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জ়েলেনস্কির পাশে থাকার বার্তা বার বারই দিয়েছেন ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলির নেতারা। শুধু তা-ই নয়, তারাও চায়, পুতিন-জ়েলেনস্কিকে এক টেবিলে বসিয়ে আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement