—ফাইল চিত্র।
উত্তর কোরিয়াকে রুখতে চিনের ভূমিকার প্রশংসা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া এশীয় অঞ্চল তথা বিশ্বের কাছে যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, তা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে চিন।
পিয়ংইয়ংকে বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকর মনে করে আমেরিকা। কিম জং উনের দেশের বিরুদ্ধে লড়াইতে তাই বিশ্বের সব দেশের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত ট্রাম্পের। সেই লড়াইয়ে চিনের তথা শি চিনফিংয়ের ভূমিকাকে ‘অত্যন্ত সহায়ক’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন
বিমানে ঘুমন্ত স্বামীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে মোবাইল খুললেন স্ত্রী, তার পর...
হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানতে চাই না, জন্মদিনে বললেন কমল হাসন
শুধু নোটবন্দিতেই কালো টাকা সাফ হয় না, এ বার সাফাই জেটলির
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম এশিয়া সফরে মঙ্গলবার বেজিং যাওয়ার কথা ট্রাম্পের। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে সে দেশের কূটনৈতিক সঙ্গী চিনকে পাশে টানতে চায় আমেরিকা। বেজিংয়ে পা রাখার এক দিন আগের এই বার্তা সেই পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্পের আশা, বিশ্বশান্তি রক্ষায় অন্য দেশগুলির মতো ‘রাশিয়াও ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।’
পাঁচের দশকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সময় থেকেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে চিনের। সেই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে আক্রমণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার মদত করতে এগিয়ে আসে আমেরিকার নেতৃত্বে রাষ্ট্রপুঞ্জের সেনা। সে সময় উত্তর কোরিয়ার পক্ষ নেয় চিন। কোরীয় যুদ্ধে চিনের অসংখ্য নাগরিকের প্রাণহানিও হয়েছিল। ফলে চিনের প্রতি ট্রাম্পের এই বার্তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। এশীয় অঞ্চলে কিম জং উন সরকারের পরমাণু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যে সেখানকার স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে স্বীকার করে নিয়েও শি চিনফিং সরকার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার বাড়বাড়ন্ত রোখার ক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা সীমিত।