সদ্য টুইটারে ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প— ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ৯ এপ্রিল থেকে আমার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হচ্ছেন জন বোল্টন।’ আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেমব্রিজ-কাণ্ডে নাম জড়াল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন পছন্দ বল্টনের।
বর্তমানে ওয়াশিংটনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রয়েছেন এইচ আর ম্যাকমাস্টার। তাঁকে সরিয়ে ৯ এপ্রিল সেই জায়গায় বহাল হতে চলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার প্রাক্তন দূত জন বোল্টন। ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইনটেগ্রিটি রিভিউ অব ক্যাম্পেন ফিন্যান্স রেকর্ড’ নামে ভোটের খরচ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্রে আজ দাবি করা হয়েছে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে ১১ লক্ষ ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছিল বোল্টন পরিচালিত ‘পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ (পিএসি)। শুধু তা-ই নয়, জানা গিয়েছে সংস্থাটি টেক্সাসের সেনেটর টেড ক্রুজের হয়েও কাজ করেছে।
২০১৪ সালে বোল্টনের ওই কমিটি কাজ শুরু করে। সেই থেকে রিপাবলিকান প্রার্থীদের পিছনে লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করেছে সেটি। এই প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে আরকানসাসের সেনেটর টম কটন, নিউ হ্যাম্পশায়ারের সেনেটর ম্যাগি হাস্যানের নাম। সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ভোটে প্রচারের খরচ আরও বাড়বে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর অনুমান, রবার্ট মার্সার নামে এক ধনকুবেরের মারফত কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল বল্টনের। ওই সংস্থা ও বোল্টনের কমিটি, দুই জায়গাতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতেন মার্সার। যদিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হওয়ার সুবাদে বোল্টনকে হয়তো জেরার মুখে পড়তে হবে না। যদিও এ নিয়ে বোল্টন, হোয়াইট হাউস কিংবা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, কেউই মুখ খোলেনি মিডিয়ার কাছে।