Donald Trump

পশ্চিম এশিয়ার বহু দূতাবাস থেকে কর্মীদের একাংশকে সরিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা, ট্রাম্প বললেন ‘ভয়ঙ্কর জায়গা’

সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে ইজ়রায়েল। সে ক্ষেত্রে তার ভয়াবহ অভিঘাত তৈরি হতে পারে গোটা পশ্চিম এশিয়াতেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ০৮:৩৬
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন মার্কিন দূতাবাস থেকে কর্মীদের আংশিক ভাবে সরিয়ে নিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের কথায়, “তাঁদের (আমেরিকার আধিকারক) সরানো হচ্ছে। কারণ, এটা একটা ভয়ঙ্কর জায়গা হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা আমরা দেখব। আমরা আপাতত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কূটনীতিক, সেনা আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বুধবার সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, ইরাকের মার্কিন দূতাবাস থেকে বহু কর্মীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ-ও জানানো হয় যে, নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য জায়গা থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। অবশ্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিটি ঠিক কী, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে ইজ়রায়েল। সে ক্ষেত্রে তার ভয়াবহ অভিঘাত তৈরি হতে পারে গোটা পশ্চিম এশিয়াতেই। সম্ভাব্য সেই ঘটনায় দায় এড়াতেই ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত নিলেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এমনিতে গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘাতের কারণে কয়েক বছর ধরেই অস্থিরতা রয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা প্রশমনে কোন ঘটনা সহায়ক হতে পারে? ট্রাম্প বলেন, “ওদের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকতে পারে না। খুব সহজ বিষয় এটি। আমরা এটা হতে দেব না।” কোনও দেশের নাম না-করলেও ট্রাম্প যে ইরানের উদ্দেশেই তোপ দেগেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement

অন্য দিকে, বুধবার আমেরিকার উপর চাপ বাড়িয়েছে ইরানও। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে বলন, ‘‘পরমাণু চুক্তি নিয়ে ষষ্ঠ দফার আলোচনা ব্যর্থ হলে এবং সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ইরান আঞ্চলিক (পশ্চিম এশিয়ার) মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘যদি আমাদের উপর সংঘাতের পরিস্থিতির দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়, মনে রাখবেন, এই অঞ্চলের সমস্ত মার্কিন সেনাঘাঁটি কিন্তু আমাদের নাগালে রয়েছে।’’

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েসকিয়ানের সরকার গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিতে আমেরিকা রাজি না হলে পরমাণু চুক্তি করা হবে না। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছিলেন, ‘‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিহার করা জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। ইরান কখনও সেই পথে হাঁটবে না।’’ ওমানের মধ্যস্থতায় গত মাসে আমেরিকা এবং ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে পঞ্চম দফার বৈঠক করেছিল। সেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করার শর্ত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। পাশাপাশি, তেহরানকে বলা হয়, সমৃদ্ধ করা সমস্ত ইউরেনিয়াম অন্য কোনও দেশে জমা রাখতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement