আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
দ্রুত এগোতে হবে। আর বেশি দিন ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য মরিয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মর্মে ফের এক বার তাড়া দিলেন পশ্চিম এশিয়ায় যুযুধান দুই পক্ষ ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে। জানিয়ে দিলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে ‘ব্যাপক রক্তপাত’ হবে, যা কেউ চায় না। এ ছাড়া, হামাস এবং একাধিক দেশের সঙ্গে তাঁর ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইজ়রায়েল এবং হামাসের সোমবার আলোচনার টেবিলে বসার কথা। মিশরে তাদের প্রতিনিধিদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হবে। তার আগে সমাজমাধ্যমে দুই পক্ষকে বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘‘প্রথম পর্যায় এই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। আমি সকলকে বলছি, দ্রুত সিদ্ধান্ত নাও। এই শতাব্দীপ্রাচীন দ্বন্দ্বের দিকে আমি নজর রেখেছি এবং রাখব। সময়ই আসল, না হলে ব্যাপক রক্তপাত হবে। সেটা কেউ দেখতে চায় না।’’
হামাস এবং আরব দেশগুলির সঙ্গে গাজ়া নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘‘এই সপ্তাহান্তে হামাস এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন দেশের (আরব, মুসলিম এবং বাকি সকলে) সঙ্গে আমার অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। পণবন্দিদের মুক্তি, গাজ়ায় যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে কথা হয়েছে। সবচেয়ে জরুরি পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরানো। এই আলোচনা খুব সফল হয়েছে। দুই পক্ষ সোমবার মিশরে আবার দেখা করবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।’’
গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য ২০ দফা পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে হামাস এবং ইজ়রায়েলকে দেখিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইজ়রায়েল তাতে রাজি হলেও হামাস প্রাথমিক ভাবে তা নিয়ে নীরব ছিল। পরে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, রবিবারের মধ্যে হামাস এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না জানালে ‘নরক যন্ত্রণা’ ভোগ করতে হবে। এর পরেই হামাস একটি বিবৃতি দেয়, যাতে প্রাথমিক ভাবে ট্রাম্পের প্রস্তাব গ্রহণ করার ইঙ্গিত ছিল। যদিও বেশ কিছু জায়গায় ধোঁয়াশা বজায় রেখেছিল প্যালেস্টাইনি এই গোষ্ঠী। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে তিনি আশা রাখছেন। যদিও তার পরেও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি বোমাবর্ষণ চলেছে। মিশরে সোমবারের আলোচনায় অনেক জট কাটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।