গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রমজান মাসের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মার্কিন নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। ইঙ্গিত মিলেছিল তখনই। এ বার পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের আয়োজন করতে চলেছে মার্কিন প্রশাসন। ইফতারের পরেই আয়োজন করা হয়েছে নৈশভোজের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী কাল বুধবার সেই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
গত বছরই ইফতারের আয়োজন নাকচ করে দিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। বিল ক্লিন্টন, জর্জ বুশ কিংবা বারাক ওবামার আমলে ইফতারের যে প্রথা ছিল, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের পরেই তা বাতিল করে দিয়েছিলেন তিনি। সামিল হননি উৎসবে। নিন্দুকেরা বলছেন, নিজের ‘ইমেজ’কে খানিকটা স্বচ্ছ করতেই চলতি বছরে ইফতার পার্টির আয়োজন করছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার্স এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রেসিডেন্ট বুধবারের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা কারা আসছেন ট্রাম্পের এই নৈশভোজে, আমন্ত্রিতের তালিকায় কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন, কেনই বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আচমকাই নিজের মত বদল করে ইফতার পার্টির আয়োজন করলেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ হোয়াইট হাউস। বিশিষ্ট মুসলিম নেতা ও সমাজকর্মীদের কাছে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-বৈঠকের আগে নয়া চাল কিমের, বাহিনীর মাথায় বসালেন ‘কাছের লোক’
আরও পড়ুন: জিতলেন কর্মীরাই, চাপের মুখে পেন্টাগনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল গুগ্ল
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ট্রাম্প। বার বার ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। এই প্রসঙ্গে ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জিয়াদ আহমেদ বলেন, ‘‘ইফতার পার্টির আয়োজন করে নিজেকে ‘সুরক্ষিত’ রাখতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুরোটাই অভিনয়। মুসলিমবিদ্বেষী হিসাবে বার বার তাঁর নাম উঠে এসেছে। তাই এই আয়োজন।’’ আদতে ট্রাম্পের আচরণে একটুও বদল আসেনি। ট্রাম্প-বিরোধী রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মুখ বন্ধ রাখার জন্যই ইফতারের ভোজ, দাবি জিয়াদের।