আজ বড়ই বিপদের দিন সাগরের যম গ্রেট হোয়াইট শার্কদের। না হলে, যার ভয়ে সকলেই এক ঘাটে জল খায় সেই গ্রেট হোয়াইট শার্কই আজ রহস্যময় খাদকের মুখোমুখি। কিন্তু কে খাচ্ছে প্রবল পরাক্রমশালী এবং ক্ষিপ্র ‘জস’কে? এই প্রশ্নটাই রীতিমত ভাবাচ্ছে জীব-বিজ্ঞানীদের।
কারণ, প্রতি দিন বিশাল মানুষখেকো এই হাঙরের সংখ্যা কমছে।
সম্প্রতি হাঙরের সঠিক সংখ্যা জানতে এবং হাঙরদের গতিবিধি নজরবন্দি করতে হাঙরগুলিকে ধরে তাদের শরীরে ছোট যন্ত্র বসান বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি সেই যন্ত্রগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা শুরু করলে বিজ্ঞানীদের সামনে উঠে আসে এক রহস্য। এক স্ত্রী হাঙরের শরীরে বসানো হয় যন্ত্রটি। কিছু দিন পর সেই যন্ত্রই মেলে আমেরিকার একটি সৈকতে। যন্ত্রটি থেকে জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমুদ্রের প্রায় ৬০০ মিটার নীচে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হাঙরটি। হঠাত্ই তাপমাত্রায় ঘটে সামান্য হেরফের। অন্য একটি প্রাণীর উপস্থিতি অনুভব করেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তার পরই দেখা যায় হাঙরটির আধ খাওয়া দেহ।
কে খেল ফুট দশেক লম্বা হাঙরটিকে? বিশাল ওই হাঙরটিকে সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ২ হাজার ফুট নীচে নিয়ে যাওয়া যে যে সে প্রাণীর কম্ম নয়। তবে কী সমুদ্রের নীচে আছে কোনও গডজিলা? না কী আছে কোনও মেগালোডন?
মেগালোডন হল প্রাগৈতিহাসিক হাঙর। এখনকার গ্রেট হোয়াইট শার্কের মতোই দেখতে জায়ান্ট শার্ক ‘মেগালোডন’-কে। লম্বায় প্রায় ৬০ ফুট মতো হত প্রাগৈতিহাসিক হাঙরগুলি। তবে কী ফিরে এল প্রাগৈতিহাসিক মেগালোডন?
সেই সম্ভাবনা আপাতত খারিজ করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে আনুমানিক ১৬ ফুট লম্বা এবং হাজার চারেক পাউন্ড ওজনের বিশাল কোনও গ্রেট হোয়াইট শার্কের পেটেই গিয়েছে হাঙরটি। এটা ধারণামাত্রই। রহস্যভেদ এখনও বাকি।