পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ (কালো টি-শার্ট পরে)। ছবি: রয়টার্স।
সুইডেনের তরুণী জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বন্দি থুনবার্গকে চুল ধরে টানা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে ইজ়রায়েলের পতাকায় চুম্বন করতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
থুনবার্গের সঙ্গেই বন্দি হওয়া দুই সমাজকর্মী হাজ়ওয়ানি হেলমি এবং উইন্ডফিল্ড বিভার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁদের চোখের সামনেই থুনবার্গকে অত্যাচার করেছে ইজ়রায়েলের বাহিনী। তুরস্কের সমাজকর্মী এরসিনকেলিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওরা ছোট গ্রেটা (থুনবার্গ)-র চুল ধরে টেনেছে। তাঁকে মেরেছে। এমনকি ইজ়রায়েলের পতাকায় চুম্বন করতে বাধ্য করেছে।” একই সঙ্গে ওই সমাজকর্মীদের দাবি, বাকিদের সতর্ক করতেই থুনবার্গের সঙ্গে ওই আচরণ করা হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ায় গাজ়ায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন থুনবার্গ এবং অন্যেরা। মাঝ সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের ত্রাণবাহী জাহাজ। আটক করা হয় থুনবার্গ-সহ জাহাজে থাকা বাকিদের। আটক ৪৫০ জনের মধ্যে শনিবার ১৩৭ জনকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হয়। যদিও থুনবার্গ এখনও বন্দিই রয়েছেন। ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা নতুন এই অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তবে এর আগে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, বন্দিদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
গত মাসে স্পেন থেকে ত্রাণ নিয়ে গাজ়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল থুনবার্গদের জাহাজ। মোট ৪৫টি জাহাজে করে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গাজ়ায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। সেই কারণেই সেখানকার মানুষের সুবিধার্থে খাবার এবং ওষুধ নিয়ে থুনবার্গ-সহ অনেক সমাজকর্মী রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছোনোর আগেই তাঁরা বাধা পান। থুনবার্গদের তরফে সম্মিলিত ভাবে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গাজ়ার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আমাদের গ্লোবাল সামাড ফ্লোটিলার অনেক জাহাজকে বেআইনি ভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেআইনি ভাবে এই কাজ করেছে ইজ়রায়েল। আলমা, সিরিয়াস, আদারার মতো জাহাজকেও আটকানো হয়েছে। জাহাজগুলির একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন।’’