মাতালের উপদ্রবে তটস্থ মিনেসোটার গিলবার্ট শহর!
বেসামাল হয়ে কখনও মাঝরাস্তায় গাড়ির সামনে চলে আসছে তারা, তো কখনও সটান ধাক্কা বাড়ির জানলায়। কিন্তু পুলিশ ডেকেও লাভ নেই। সবটাই হাতের বাইরে। এ তো আর এলাকার অল্পবয়সিদের কাণ্ডকারখানা নয়। মাতলামোয় ‘অভিযুক্ত’ সকলেই নিরীহ পাখি।
পুলিশ প্রধান টাই টেচার আজ বিবৃতি দিয়ে জানান, একের পর এক অভিযোগ আসছে তাদের কাছে। দুর্ঘটনায় বহু পাখির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে পুলিশ জানিয়েছে, কিছুই করার নেই।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসলে এ বছর সময়ের একটু আগেই বরফ পড়েছে। তাতেই বেরি জাতীয় এক ধরনের ফল পচে ফার্মেন্টেশন হয়ে গিয়েছে। ওই ফল খেয়ে মত্ত হয়ে গিয়েছে পাখিরা। ময়নাতদন্তে মৃত প্রতিটি পাখির পেট থেকে ওই বেরি মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ফলের মধ্যে থাকা মাত্রাতিরিক্ত ইথানল-এর জেরে মৃত্যু হয়েছে পাখিগুলির।
প্রতি বছর এই দৃশ্যের দেখা মেলে না, কারণ বরফ পড়ার সময় আসতে আসতে গিলবার্টের পাখিরা দক্ষিণে উড়ে যায়। কিন্তু পরিযায়ীদের এখনও যাওয়ার সময় হয়নি, তার
আগেই বরফ পড়তে শুরু করেছে এ বছর। টাই বলেন, ‘‘পুলিশে যোগাযোগ করার কোনও প্রয়োজন নেই। কিছু দিনের মধ্যেই সব ঠিক হয়েছে যাবে।’’
কিন্তু এ আশ্বাসে আতঙ্ক কাটছে না বাসিন্দাদের। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সব অভিজ্ঞতা। এক মহিলা যেমন জানিয়েছেন, এক দিন বাড়ির পিছনের বাগানে তিনটি পাখির মৃতদেহ পান তিনি। আর এক জন লিখেছেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে আমার গাড়ি অন্তত ৭টি পাখিকে ধাক্কা মেরেছে! ব্রেক কষলেও আর কিছু করার ছিল না। ওরা সোজা এসে গাড়ির উইন্ডশিল্ডে ধাক্কা মারে।’’ এক জন আবার মন্তব্য করেছেন, ‘‘যে কোনও দিন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে পাখিরা।’’