ফ্লরিডায় ‘আহ্বান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার অরল্যান্ডো দুর্গাপূজা’-র আসর। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় দুর্গাপুজোর ধুমধাম নতুন কিছু নয়। কিন্তু ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের সেই মার্কিন মুলুকেও পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে! সপ্তমী, অষ্টমী পেরিয়ে নবমী— প্রায় সমানতালে চলছে উৎসব। আয়োজক মূলত আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালি পরিবারগুলি। পুজোর পাঁচ দিনের আনন্দ-উদ্দীপনা কিংবা আন্তরিকতায় তাঁরা কোনও খামতি রাখেননি। পুজোই যেন তাঁদের কাছে হয়ে উঠেছে শিকড় ছুঁয়ে থাকার একমাত্র অবলম্বন। ফ্লরিডার ‘আহ্বান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার অরল্যান্ডো দুর্গাপূজা’ সেই বার্তা দিল আরও এক বার।
ফ্লরিডার ‘আহ্বান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার অরল্যান্ডো দুর্গাপূজা’-এর আয়োজন। —নিজস্ব চিত্র।
এ বছর ‘আহ্বান’-এর দুর্গাপুজো তিন বছরে পা দিল। ২০২৩ সালে প্রবাসী বাঙালিদের মাত্র ১৫টি পরিবার মিলে মধ্য ফ্লরিডার অরল্যান্ডো শহরে এই পুজো শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘আহ্বান’-এর পুজো জনপ্রিয়তা পেয়েছে ফ্লরিডায়। আয়োজন যেমন আড়ে-বহরে বেড়েছে, তেমনই মিলেছে সমর্থন। এ বছরের পুজোয় শহরের ৫০টিরও বেশি প্রবাসী পরিবার ‘আহ্বান’-এর পুজোয় যোগ দিয়েছে। উৎসবের আনন্দ হয়েছে দ্বিগুণ।
কলকাতায় পুজো মানেই চিরন্তন বাঙালি আবেগ, মেয়েদের শাড়ি আর ছেলেদের ধুতি-পঞ্জাবিতে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। কিন্তু যাঁরা দূরে থাকেন, চাইলেও যাঁরা বছরের এই দিনগুলিতে বাড়ি ফিরতে পারেন না, মূলত তাঁদের কথা ভেবেই ফ্লরিডায় প্রথম বার পুজোর আয়োজন করেছিল ‘আহ্বান’। ফেলে আসা স্মৃতি নতুন করে তুলে ধরতে চেয়েছিল দুর্গোৎসবের ঢাকে। মাত্র তিন বছরেই তাই এত মানুষকে তারা আপন করে নিতে পেরেছে। আগামী দিনে ‘আহ্বান’-এর পরিধি আরও বাড়বে, আমেরিকার বুকে বিশুদ্ধ বাঙালিয়ানায় দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন আরও জমকালো হয়ে উঠবে, আশাবাদী উদ্যোক্তারা।