—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ইরানের সেমনান এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। ভূতাত্ত্বিক কারণে ইরানে ভূমিকম্প প্রায়ই হয়। কিন্তু এই সংঘাতের আবহে এই ভূমিকম্প নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়েই কি কেঁপে উঠেছে মাটি! প্রসঙ্গত, এই সেমনানে ক্ষেপণাস্ত্র কমপ্লেক্স এবং স্পেস সেন্টার রয়েছে।
শুক্রবার, ২০ জুন ভূমিকম্প হয়েছে ইরানের উত্তরে সেমনানে। তাসনিম সংবাদসংস্থা বলছে, কম্পনের কেন্দ্র ছিল সেমনানের ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ১৩ জুন থেকে সংঘাতে জড়িয়েছে ইরান এবং ইজ়রায়েল। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। এই আবহে ইরানে ভূমিকম্প নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করা শুরু করে দিয়েছে তেহরান? সেমনানে যেখানে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র কমপ্লেক্স এবং স্পেস সেন্টার রয়েছে। এগুলি পরিচালনা করে ইরানের সেনা।
সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় শুক্রবার ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আপস করবে না ইরান। তার পরেই শনিবার ইরান-ইজ়রায়েলের সংঘাত জোরালো হয়েছে। দুই দেশ পরস্পরের উপর নতুন করে হামলা শুরু করেছে। জল্পনা, তবে কি শুক্রবার আগেভাগে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করছিল ইরান?
ইরানের সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আরব এবং ইউরেশীয় টেকটনিক পাতের সংযোগস্থলে রয়েছে ইরান। সে কারণে সেখানে বছরে গড়ে ২,১০০টি ভূমিকম্প হয়। তার মধ্যে ১৫ থেকে ১৬টির কম্পনমাত্রা পাঁচ বা তার বেশি হয়। ১৯৬৬ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ইরানে ৯৬ হাজার ভূমিকম্প হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পরমাণু পরীক্ষার সময়ে মাটির নীচে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে টেকটনিক শক্তি নির্গত হয়। এর ফলে ভূমিকম্প হতে পারে। তবে এই ধরনের কম্পন এবং ভূমিকম্পের মধ্যে সহজেই ফারাক করতে পারেন ভূবিদেরা। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকর জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) কম্প্রিহেনসিভ নিউক্লিয়ার-টেস্ট-ব্যান ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিটিবিটিও) ইরানে পরমাণু পরীক্ষার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে।