Earthquake in Turkey and Syria

বেঁচে নেই সন্তান! একরত্তির দেহ জড়িয়ে পরের পর স্নেহচুম্বন বাবার, সিরিয়ার হাহাকারের ছবি প্রকাশ্যে

ভূমিকম্পের পর শ্মশানের চেহারা নিয়েছে তুরস্ক, সিরিয়ার বড় অংশ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮০০। যার মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ২,৩৭৯ জনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলেপ্পো শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০৭
Share:

ছোট্ট সন্তানের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে কোলে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছে বাবা। ছবি: টুইটার।

বেঁচে নেই একরত্তি সন্তান। জানতে পেরে মৃত শিশুকে জড়িয়ে একের পর এক স্নেহচুম্বন বাবার। একই সঙ্গে চলছে অঝোরে কান্না। এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল ভূমিকম্পবিধ্বস্ত সিরিয়ায়।

Advertisement

সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই ভূমিকম্পের পর শ্মশানের চেহারা নিয়েছে তুরস্ক, সিরিয়ার বড় অংশ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৮০০। যার মধ্যে তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ২,৩৭৯ জনের। সিরিয়ায় ১,১৩৬।

সেই মৃতদের মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার জিন্দাইরিসের এই নবজাতক শিশু। প্রাণঘাতী ভূমিকম্প প্রাণ কেড়েছে তার। আর তাতেই শোকে কাতর তার বাবা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ছোট্ট সন্তানের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে কোলে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে চলেছে বাবা। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে থামাতে পারছে না আত্মীয়পরিজনেরা। কাঁদতেই কাঁদতেই সন্তানকে একের পর এক স্নেহচুম্বন করে চলেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবারের ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কে। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলোজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। প্রায় দেড় মিনিট পর্যন্ত তার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক বহুতল এবং বাড়ি। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আরও দুবার কেঁপে ওঠে সিরিয়া এবং তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আরও বেড়ে যায় বিপদ। তার পর থেকে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন