আমেরিকার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ ইইউ

গত বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রাম্পের এই বিতর্কিত মন্তব্য কোনও দেশই সমর্থন করেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রাসেলস শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

বেইরুটের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: এএফপি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এক রকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল আমেরিকা। বন্ধু দেশ ফ্রান্স-ব্রিটেনও পাশে দাঁড়ায়নি তার। জেরুসালেম নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যে তারা মানেন না, সেটা জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। আজ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠকে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ব্রিটেন-জার্মানি-ইতালি।

Advertisement

গত বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রাম্পের এই বিতর্কিত মন্তব্য কোনও দেশই সমর্থন করেনি। উল্টে ফুঁসতে থাকে প্যালেস্তাইন-সহ পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলি। এক মাত্র ইজরায়েলই বলে, ‘আমেরিকার সাহসী সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ’। আমেরিকার হয়ে দরবার করতে ব্রাসেলসে ইইউ-এর বৈঠকে আজ হাজির হন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর আর্জি, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মেনে জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু এই আবেদন নাকচ করেছে ইইউ।

ইজরায়েল ঘনিষ্ট চেক প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত শান্তি প্রক্রিয়ায় জন্য বিপজ্জনক। ফ্রান্সও অনড়— জেরুসালেম কার হবে, আলোচনার মাধ্যমে তা ঠিক করুক ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন, অন্য কোনও দেশ নয়। রবিবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠক সেরে নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘প্যালেস্তাইনের মেনে নেওয়া উচিত ইজরায়েল ইহুদি দেশ। এর একটা রাজধানী রয়েছে। যার নাম জেরুসালেম।’’ যদিও নেতানিয়াহুর আশায় জল ঢেলে দিয়েছে ইইউ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন