খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
উন্নত চিকিৎসার জন্য অসুস্থ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তাঁর পরিবার। বাংলাদেশের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী খানিক সুস্থ হলেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে তাঁকে ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ খালেদা-পুত্র তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য কাতারের বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সন্ধ্যায় হাসপাতালে খালেদাকে দেখতে যান তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফজলে এলাহী আকবর। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, “ওঁর (খালেদা) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে অবশ্যই (বিদেশে) নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করা হবে। নেওয়ার মতো অবস্থা এখনও হয়নি।” তবে খালেদা আগের তুলনায় একটু ভাল আছে বলে জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে খালেদার দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকের উপদেষ্টা সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আমরা যতটুকু শুনেছি, দেশবাসীর দোয়া ও ভালবাসায় সিক্ত আপসহীন নেত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাঁকে লন্ডনে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরিকল্পনা করছে জিয়া পরিবার।” তারেকের উপদেষ্টা এ-ও জানিয়েছেন যে, চলতি বছরে লন্ডনের যে হাসপাতালে চার মাস থেকে খালেদা সুস্থ হয়েছিলেন, সেই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যোগাযোগ করেছেন তারেক এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, খালেদার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে নিউমোনিয়াও হয়েছে। ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের। এ ছাড়া, বার্ধক্যজনিত আনুষঙ্গিক অসুস্থতা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মায়ের আরোগ্যকামনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে শনিবার সকালে লন্ডন থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তারেক। দেশে ফিরতে পারছেন না বলে আক্ষেপও করেন।
৮০ বছর বয়সি বিএনপি নেত্রীকে গত রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিডনি এবং লিভারে পুরনো সমস্যা রয়েছে খালেদার। রয়েছে আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবিটিস। ফলে কোনও একটি রোগের চিকিৎসা করতে গেলে অন্যগুলির উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বয়সজনিত কারণে খুব বেশি ঝুঁকিও নিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। খালেদার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল গঠন করা হয়েছে। দলে রয়েছেন তারেকের চিকিৎসক স্ত্রী-ও।