বুধবার বিকেলে আগুন ধরে যায় হংকঙের অন্তত সাতটি বহুতল আবাসনে। ছবি: রয়টার্স।
হংকঙে আগুন লাগল একের পর এক বহুতল আবাসনে। অন্তত সাতটি বহুতলে আগুন ছড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ২৭৯। আবাসনগুলির ভিতরে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হংকয়ের দমকল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহজনক তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ।
দুর্ঘটনাস্থলেই ন’জনের মৃত্যু হয়। আগুনে দগ্ধ অবস্থায় চারজন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয় এক দমকলকর্মীরও। অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতার বিচারে এটিকে ‘লেভল ৫ অ্যালার্ম’ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের পরে ওই আবাসনগুলি থেকে প্রায় ৭০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে তাঁদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই সাতটি আবাসন মিলিয়ে প্রায় ২০০০টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। আটটি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৪৮০০ লোকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এই বহুতলগুলিতে।
গত ১৭ বছরে হংকংয়ে এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বহুতলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনের ভয়াবহতা ওই ভিডিয়োগুলি থেকেই স্পষ্ট। বহুতলগুলির নীচ থেকে উপর প্রায় সবক’টি তলই আগুনে গ্রাসে চলে গিয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টগুলির জানালা দিয়ে আগুনের শিখা বেরোতে দেখা গিয়েছে। গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। দমকলকর্মীরা উঁচু উঁচু মই ব্যবহার করে আগুন নেবানোর চেষ্টা করেন। দমকলের ১২৮টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও তা এখনও পুরোপুরি নেবানো যায়নি।