Russia-Georgia Conflict

রাষ্ট্রপুঞ্জে এ বার রাশিয়ার পাশে আমেরিকা! তবে ইউক্রেন নয়, অন্য এক পড়শির সঙ্গে সংঘাত প্রসঙ্গে

সোভিয়েতের পতনের পরে জর্জিয়ায় রুশ জনগোষ্ঠী গরিষ্ঠ অঞ্চল দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজ়িয়ার সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি জর্জিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছিল। তা এখনও চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৪৪
Share:

ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে মস্কোর পাশে দাঁড়াল ওয়াশিংটন। ১৭ বছর আগে শুরু হওয়া এক সংঘাত প্রসঙ্গে। পড়শি দেশ জর্জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের অগস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা যে অভিযান শুরু করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে তার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ।

Advertisement

একদা ইউক্রেনের মতোই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল জর্জিয়া। সোভিয়েতের পতনের পরে সে দেশের রুশ জনগোষ্ঠী গরিষ্ঠ অঞ্চল দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজ়িয়ার সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি মস্কোর সমর্থনে জর্জিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছিল। জর্জিয়া সরকার বিদ্রোহীদের দমনে সেনা পাঠালে পাল্টা রুশ জনগোষ্ঠীকে সমর্থনের জন্য সামরিক হস্তক্ষেপ করেন পুতিন।

এর পর গত ১৭ বছর ধরে সীমান্ত সংঘাত চলছে রাশিয়া-জর্জিয়া। এমনকি, দক্ষিণ ওসেটিয়া এবং আবখাজ়িয়ার একাংশ বেআইনি ভাবে রুশ সেনা ও মস্কোপন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠী দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। রাশিয়ার এই ‘আগ্রাসী নীতি’র বিরোধিতা করে এবং জর্জিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতার সমর্থনে নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় সদস্যরাষ্ট্র ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্লোভেনিয়া, ডেনমার্ক এবং গ্রিস একটি প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু ট্রাম্পের আমেরিকা তা সমর্থন করেনি।

Advertisement

১৭ বছরের মধ্যে এই প্রথম জর্জিয়া বিতর্কে রাশিয়ায় পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। গত ১৫ অগস্ট ইউক্রেন যুদ্ধের বিরতি নিয়ে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের পরে ওয়াশিংটনের এই অবস্থান ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ। প্রসঙ্গত, জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি সে দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জর্জিয়ার জনতার একাংশ মস্কোর সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর দাবিতে পথে নেমেছেন। জর্জিয়ার সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলির পরিচিতি ‘মস্কো বিরোধী’ হিসেবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিখাইল কাভেলসভিলি মধ্যপন্থী। কিন্তু সে দেশের পার্লামেন্টের বৃহত্তম দল ‘ড্রিম পার্টি’র নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement