মহম্মদ আলির ছেলে।
নামের শুরুতে মহম্মদ থাকায় নিউইয়র্কগামী বিমান থেকে ক’দিন আগেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক ব্রিটিশ শিক্ষককে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বুধবারও নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে ট্রাম্পের এই মুসলিম বিদ্বেষী অভিবাসন নীতির প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। কিন্তু ঘটনা থেমে নেই। নামে মহম্মদ থাকায় এ বার ফ্লোরিডা বিমানবন্দরে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হলেন কিংবদন্তী বক্সার প্রয়াত মহম্মদ আলির ছেলে। আগের ঘটনার শিকার ছিলেন এক বিদেশি। এ বার আমেরিকারই নাগরিক। নাম দেখেই জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি মুসলিম কিনা। উত্তরে ‘হ্যাঁ’ তার পর দু’ঘণ্টা তাঁকে আটকে রেখে তল্লাশি চালানো হয় সারা শরীরে। জেরা পর জেরা চলতে থাকে।
সম্প্রতি মা খলিলা কামাচো-আলিকে নিয়ে ৪৪ বছরের মহম্মদ আলি জুনিয়র জামাইকা থেকে ফিলাডেলফিয়ায় ফিরছিলেন। তাঁর আইনজীবী ক্রিস ম্যানচিনি জানান, জুনিয়র আলির কাছে বৈধ পাসপোর্টও ছিল। ফ্লোরিডার ফোর্ট লওডারডেল-হলিউড বিমানবন্দরে তাঁকে অভিবাসন দফতরের কর্মীরা আটকান। বৈধ পাসপোর্ট দেখিয়েও তিনি রেহাই পাননি। আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁর খানাতল্লাশি করতে শুরু করেন অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। প্রশ্ন করেন, ‘আপনার নাম মহম্মদ কী ভাবে হল? আপনি কি মুসলিম?’
আরও পড়ুন: সমস্ত ভাল আমেরিকাতেই হয়, স্ত্রীকে ভরসা দিয়েছিলেন শ্রীনিবাস
যদিও এই ঘটনাকে নিছকই রুটিন তল্লাশি বলে জানিয়েছেন আমেরিকার শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা। মহম্মদ আলি জুনিয়রের কাছ থেকে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
চলতি মাসের ১৬ তারিখেই আইসল্যান্ডের রাজধানী রেকিয়াভিকে নিউইয়র্কগামী একটি বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ শিক্ষক জুয়েল মিয়াকে। তাঁরও নামের শুরুতে মহম্মদ ছিল। প্রতিবাদ করেও কোনও ফল হয়নি। চূড়ান্ত হেনস্থার পর তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমেরিকায় তাঁর প্রবেশ নিষেধ।