গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
কানাডার মাটি ব্যবহার করে খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে অভিযোগ তুলেছে ভারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে জাস্টিন ট্রুডো থাকাকালীন জোর গলায় তা অস্বীকার করেছে কানাডা। ক্ষমতার পালাবদলের পর নয়াদিল্লির সেই অভিযোগের সত্যতা প্রথম বার স্বীকার করে নিল অটোয়া।
শুধু কানাডার মাটি নাশকতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করাই নয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সেই কাজে আর্থিক সহায়তাও সে দেশ থেকেই পাচ্ছে। কানাডার অর্থ দফতরের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নের সরকার জানিয়েছে, বব্বর খালসা, ‘ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইউথ ফেডারেশন’, ‘শিখস ফর জাস্টিসের’ (এসএফজে)-র মতো খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি বহু দিন ধরে কানাডার মাটিতে নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে এসেছে! গত দু’দশক ধরে বারে বারে এই অভিযোগই তুলে এসেছে নয়াদিল্লি।
রিপোর্টে কানাডা ছাড়াও একাধিক দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত পাওয়ার উল্লেখ রয়েছে। এমনকি, হামাস বা হিজবুল্লার মতো পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও কানাডার মাটি থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বলে রিপোর্টে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির অন্দরে বিদ্রোহের জেরে গত জানুয়ারিতে ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত ট্রুডোর স্থানে কুর্সিতে বসেন কার্নে। তার পরেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কানাডা সরকারের নতুন রিপোর্ট দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।