সুস্থ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
চার মাসের চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী সোমবার ঢাকায় ফিরতে পারেন বলে তাঁর দলের তরফে জানানো হয়েছে। তবে খালেদার সঙ্গে তাঁর পুত্র তথা দলের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে শুক্রবার বিএনপি নেতৃত্ব সরাসরি কিছু জানাননি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্য এ জ়েড এম জ়াহিদ হোসেন শুক্রবার বলেন, ‘‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে বেশ ভাল। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৫ মে তিনি দেশে ফিরবেন।’’ তারেকের স্ত্রী, পেশায় চিকিৎসক জ়ুবাইদা রহমান এবং খালেদার প্রয়াত কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমানও সোমবার একই বিমানে ঢাকায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন জ়াহিদ।
গত ৬ অগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পরেই খালেদার বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তাঁর কারাদণ্ড মকুব করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। অন্য দিকে, শেখ হাসিনার জমানায় গ্রেফতারি এড়াতে লন্ডনে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন তারেক। গত ৮ জানুয়ারি খালেদা লন্ডনে পৌঁছোনোর পরে তারেকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। সাত বছর পরে পুত্রের মুখোমুখি হয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন খালেদা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীপদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইউনূস। তার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে তাঁর উপর চাপ দিয়ে চলেছে বিএনপি। গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব চান, চলতি বছরেই নির্বাচন হোক জাতীয় সংসদের। ইউনূস সরকার জাতীয় সংসদের আগে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইলেও তারেক শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এমন পদক্ষেপ তাঁরা মানবেন না।