প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কোনও আপত্তিকর উদ্দেশ্য নিয়ে হেদার লিন্ডকে স্পর্শ করেননি। দাবি বুশের মুখপাত্রের। —এএফপি থেকে নেওয়া ফাইল চিত্র।
যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত বিতর্কের মুখে পড়ে এ বার ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ করলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। অভিনেত্রী হেদার লিন্ড যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন সিনিয়র বুশের বিরুদ্ধে। বছর চারেক আগে একটি টেলিভিশন শোয়ের প্রোমোশনে সিনিয়র বুশের সঙ্গে ফোটো সেশনে গিয়ে তাঁকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল বলে লিন্ডের দাবি। বুশ তাঁর শরীরের পিছনের অংশকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেছিলেন বলে লিন্ডের অভিযোগ। অভিনেত্রীর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় বিবৃতি দিয়েছেন বুশের মুখপাত্র। তাঁর দাবি, কোনও আপত্তিকর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওই অভিনেত্রীকে স্পর্শ করেননি। কিন্তু তবু বুশ ক্ষমাপ্রার্থী, কারণ ওই অভিনেত্রী বিষয়টি ভালভাবে নেননি।
হেদার লিন্ডের অভিযোগ, চার বছর আগে একটি টেলিভিশন শোয়ের প্রোমোশনে গিয়ে যখন তিনি ছবি তোলার জন্য সিনিয়র বুশের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তখনই সিনিয়র বুশ তাঁর শরীরের পিছনের অংশে আপত্তিকর ভাবে হাত রাখেন। বুশের স্ত্রী বারবারার নজরও এড়ায়নি বিষয়টি, দাবি লিন্ডের। বারবারা চোখের ইশারায় সিনিয়র বুশকে আপত্তিকর আচরণ করতে বারণ করছিলেন বলে হেদার লিন্ড জানান। কিন্তু বুশ সে বারণ শোনেননি। ফোটো সেশন চলার সুযোগ নিয়ে তিনি একাধিক বার আপত্তিকর আচরণ করেন বলে লিন্ডের দাবি।
আরও পড়ুন: নেই হিজাব, নেই বিভাজন, বদলে যাওয়া সৌদির স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘নিওম’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার স্বার্থে আরও শক্ত নিয়ম আমেরিকামুখী বিমানে
হলিউডি প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর গোটা আমেরিকায় যখন এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে নিন্দার স্বর তীব্র, ঠিক তখনই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও অনেকটা একই রকম অভিযোগ নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় বুশ পরিবার নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে। সিনিয়র বুশের তরফ থেকে তাই বিবৃতি প্রকাশ করে এই অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা হয়েছে। বুশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘বুশের বয়স এখন ৯৩ বছর, প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। তাই যাঁদের সঙ্গে তিনি ছবি তোলেন, তাঁদের কোমরের নীচের অংশেই তাঁর হাতটা পড়ে।’’ সিনিয়র বুশের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, অনেকেই এই বিষয়টির মধ্যে আপত্তিকর কিছু দেখেন না। কিন্তু অনেকে আবার এটি অপছন্দ করেন। বুশের তরফে মুখপাত্রের বার্তা, ‘‘যাঁরা তাঁর আচরণে অসন্তুষ্ট, তাঁদের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।’’