International News

মলদ্বীপে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে সরব প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট

মলদ্বীপে গণতন্ত্র ফেরানোর প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করুক ভারত। ফের আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের রাজনৈতিক শিবির থেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:৪৬
Share:

ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে মলদ্বীপে। ছবি: রয়টার্স।

ফের ভারতীয় হস্তক্ষেপের আর্জি এল মলদ্বীপের রাজনৈতিক শিবির থেকে। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সাংবিধানিক সঙ্কট কাটানোর সব অভ্যন্তরীণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মলদ্বীপের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জামিল আহমেদ রবিবার মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ জরুরি এবং সে প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ভারতের— বলেছেন জামিল।

Advertisement

‘‘গণতন্ত্র ফেরানোর যত রকম উপায় ছিল, সেই সব রকম ভাবেই চেষ্টা করেছেন মলদ্বীপের মানুষ। বিচারবিভাগ তার রায় দিয়েছে, পার্লামেন্ট চেষ্টা করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি চেষ্টা করেছে, মলদ্বীপে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র ফেরাতে সবাই ব্যর্থ।’’ রবিবার এমন মন্তব্যই করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

মহম্মদ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘‘আমার মত, এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মহলের। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় থাকা সব রকম বৈধ সংস্থান প্রয়োগ করে মলদ্বীপে গণতন্ত্র ফেরানোর প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ভারতের।’’

Advertisement

এর আগে মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদও সে দেশে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এবং তাঁর বিরোধী শিবিরে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার পরেই নাশিদ আর্জি জানিয়েছিলেন, মলদ্বীপে সেনা পাঠাক ভারত।

দ্বীপরাষ্ট্রের দিকে ভারত সর্বক্ষণ নজর রাখছে, জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। ছবি: এএফপি।

নাশিদের আর্জির পরে মলদ্বীপ নিয়ে মুখ খুলেছিল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতিতে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলে জানানো হয়েছিল। মলদ্বীপের দিকে ভারত সতর্ক নজর রাখছে বলেও জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে পরপর জঙ্গি হানা, হত ২৩

দিন কয়েক আগে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থান মেয়াদ ফের বাড়িয়েছেন। তাতে নতুন করে উষ্মা প্রকাশ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, মলদ্বীপে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও ‘বৈধ কারণ’ ভারত খুঁজে পাচ্ছে না। ‘‘আমরা অবশ্যই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং মলদ্বীপের সরকারকে আমরা বলব, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক, প্রধান বিচারপতিকে মুক্তি দেওয়া হোক, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হোক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাভাবিক সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনা হোক।’’

আরও পড়ুন: বোকো হারামের হাতে ১০০ ছাত্রী

ভারতের এই বিবৃতির বিরোধিতা করেছে মলদ্বীপ। ইয়ামিন সরকারের বিদেশ মন্ত্রী মহম্মদ আসিম পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ভারত সরকার যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, মলদ্বীপের সরকার সে সম্পর্কে অবহিত। ভারতের বিবৃতিতে মলদ্বীপের বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নেই এবং দ্বীপরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এখন যে পথে, তাকে ভারত অবজ্ঞা করেছে বলে মহম্মদ আসিম মন্তব্য করেছেন।

ইয়ামিনের বিদেশ মন্ত্রী যা-ই বলুন, মলদ্বীপে ভারতীয় হস্তক্ষেপের দাবি যে ক্রমশ প্রবল হচ্ছে, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জামিলের কথায় তা আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রথমে নাশিদ এবং আজ জামিল যে ভাবে মলদ্বীপে ভারতীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন, তাতে ইয়ামিন সরকারের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন