G7 Summit

বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে হুমকি বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকুক চিন, আবেদন জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত নেতাদের

বৈঠক শেষে জারি করা বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘আমরা চিনকে মনে করিয়ে দিতে চাই হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২ ২৩:০৫
Share:

জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর বাড়িতে জি-সেভেন নেতাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোসেফ বোরেল। ছবি: রয়টার্স।

নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে যুঝতে বার্তা দিলেন জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতারা। আর তা করতে গিয়ে চিনের প্রতিও আবেদন রেখেছেন বিশ্বের সাতটি সম্পদশালী দেশের প্রতিনিধিরা। জি-৭ নেতাদের আবেদন, বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে চিন যেন হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

Advertisement

জার্মানিতে শেষ হয়েছে জি-৭ বৈঠক। সভা শেষে সাত দেশের বিদেশমন্ত্রীরা সম্মিলিত ভাবে জানিয়েছেন, তাইওয়ান অঞ্চলে শান্তি ও দীর্ঘকালীন স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার কথা। চিনে সদ্যই শেষ হয়েছে পার্টি কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে জি-৭ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া দেবে বলে দাবি করেছিলেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের এক কর্তা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জি-৭ এর দু’দিনের বৈঠক শেষে জারি করা বার্তায় তা নিয়ে নেই একটি কথাও।

বৈঠক শেষে জারি করা বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘আমরা চিনকে মনে করিয়ে দিতে চাই হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা।’’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘‘একতরফা ভাবে যে কোনও শক্তি প্রদর্শন বা হুমকির ঘটনা স্থিতাবস্থার পরিপন্থী হয়ে উঠতে পারে বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।’’ একই সঙ্গে পূর্ব এবং দক্ষিণ চিন সাগরে জিনপিংয়ের দেশের গতিবিধি নিয়েও জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি যে চিন্তিত, তাও বলা হয়েছে।

Advertisement

যদিও তাইওয়ানকে নিজেদের সীমানার মধ্যেই বলে দাবি করে চিন। সার্বভৌমত্ব বিসর্জনে নারাজ তাইওয়ানও। তা নিয়েই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইদানীং বরফ শীতল। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির। শুধু তাইওয়ানই নয়, চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই সূত্রেই ঘুরেফিরে এসেছে তিব্বত এবং হংকংয়ের প্রসঙ্গ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন