শুধুমাত্র মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁইয়ের আশায় পুলিশের হাতে ধরা দিতে চাইছেন আমেরিকায় বসবাসকারী হাইতির শরণার্থীরা!
পুলিশের চোখারাঙানি সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে আমেরিকা-কানাডা সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিলেন জঁ এনিস ফ্রেদেরিক। দাঁড়িয়েছিলেন রক্সহ্যাম রোডের শেষপ্রান্তে। এই রাস্তাটাই আমেরিকা ও কানাডাকে আলাদা করেছে। এ হেন রাস্তাটির অন্য প্রান্তেই রয়েছে পুলিশ। এমনকী সতর্কতাও জারি করা হয়েছে, ওই রাস্তা পেরোলেই বিপদ। কিন্তু সব জেনেশুনেও রাস্তাটি পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন ফ্রেদেরিক। উদ্দেশ্য, পুলিশের হাতেই ধরা দেওয়া।
শুধু ফ্রেদেরিক নন, তাঁর মতো হাইতির হাজার হাজার উদ্বাস্তু মানুষ চান কানাডা পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করুক। তা হলে কানা়ডায় আশ্রয় পেতে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: নাম-হীন জীবন থেকে মুক্তি চান আফগান মেয়েরা
কিন্তু কেন এই তৎপরতা? ২০১০-এ কলেরা ও ভূমিকম্পের জোড়া ধাক্কায় জেরবার হয়ে হাইতি ছেড়ে আমেরিকায় এসে উঠেছিলেন ফ্রেদেরিকের মতো হাজার হাজার মানুষ। ভূমিকম্পের পরেই হাইতির সেই শরণার্থীদের অস্থায়ী সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা। এত দিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত দু’মাস ধরে ওই শরণার্থীরা আমেরিকা ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন। কারণ ইতিমধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, অস্থায়ী সুরক্ষার বিষয়টি পুনর্নবীকরণ করা হবে। সেই ঘোষণাতেই রাতের ঘুম উড়েছে ফ্রেদেরিকের মতো ওই শরণার্থীদেরও। ফ্রেদেরিকের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
তাই গত কয়েক মাস ধরে আমেরিকা ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা। আমেরিকা থেকে কানাডায় যাওয়ার বাসগুলিতে শরণার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। নিউ ইয়র্কের প্লাৎসবার্গগামী ট্রেন-বাসগুলিও উপচে পড়ছে শরণার্থীদের ভিড়ে। কিন্তু ওই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস কানাডার তরফে সে ভাবে পাওয়া যায়নি।