অ্যান্টনি ভ্যান ডের মির
অ্যামস্টারডামের এক রেস্তোঁরায় তখন মধ্যাহ্ণভোজে এসেছিলেন অ্যান্টনি ভ্যান ডের মির নামের বছর তেইশের একটি ফিল্ম স্কুলের ছাত্র। আর তখনই নিমেষের মধ্যে উধাও হয়ে যায় তাঁর সাধের আইফোন। তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে ছোটেন। কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয় না। চোর ততক্ষণে ফোন থেকে সিম কার্ডটি খুলে নিয়েছে।
প্রত্যেক সপ্তাহে কমপক্ষে ৩০০টি মোবাইল চুরির অভিযোগ আসে ডাচ পুলিশদের কাছে। তার মধ্যে অধিকাংশরই খোঁজ পাওয়া যায় না।
তবে যায় কোথায় এই ফোনগুলো? কে বা কারা চুরি করে ফোনগুলো? এইসব হাজারো প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল অ্যান্টনির মাথায়। প্রশ্নের উত্তর পেতে নিজের আরেকটি স্মার্টফোনও খোয়ানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। এই ফোনের মাধ্যেমেই তিনি সরাসরি পৌঁছতে চেয়েছিলেন চোরের ডেরায়। আর সেই ফোনে আগে থেকেই ইনস্টল করে দেন ‘সেরবেরাস’ নামের একটি অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যাপ। এই অ্যাপস যে শুধু চোরের বাসস্থান চিহ্নিত করবে তা নয়, সিম খুলে অন্য সিম লাগালেও সবেরই হদিস দেবে ওই অ্যাপ।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালানোর সময় ব্লু-টুথ ডিভাইসে কথা বলেন? খুব সাবধান!
স্বল্পদৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্র তিন দিনে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। আর ইউটিউবের ট্রেন্ডিং ভিডিওগুলোর মধ্যে ‘ফাইন্ড মাই ফোন’-এর স্থান দ্বাদশে। শেষে খুঁজতে খুঁজতে অ্যান্টনির নজরবন্দি হয় চোর। তবে শেষে কী সে আইন নিজের হাতেই তুলে নিয়েছিল? জানতে হলে দেখে ফেলুন ‘ফাইন্ড মাই ফোন’।
দেখুন তথ্যচিত্রটি