আদালতে শুনানির সময় গোপন ক্যামেরায় তোলা সেই ভিডিও দেখানো হচ্ছে নার্সিং সুপারভাইজার ওয়ান্ডা নাক্লসকে (লাল পোশাক)।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অক্সিজেন মাস্ক চেয়ে কাতরাচ্ছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সেনা। আর ৮৯ বছরের সেই মানুষটিকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ তো দূর অস্তই, হাসাহাসি করছেন নার্সরা! কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে!
আফ্রিকার মানচিত্রের দুর্গম প্রান্তে থাকা কোনও দেশে নয়, চমকে দেওয়ার মতো ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার আটলান্টার একটি মফস্সল শহরে। নার্সিংহোম নর্থ-ইস্ট আটলান্টা হেলথ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে। শেষ সময়ে অক্সিজেন না পেয়ে মৃত্যু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মার্কিন সেনা জেমস ডেম্পসির। ২০১৪-র ২৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা।
আরও দেখুন- ১০০ বছরে তলিয়ে যাবে এই শহরগুলি! বলছে নাসা
আরও পড়ুন- যে কোনও প্রান্তে পরমাণু হামলা চালাতে চিনের হাইপারসনিক প্রস্তুতি
কিন্তু কী ভাবে জানা গেল মৃত্যুপথযাত্রী ডেম্পসির সঙ্গে নার্সিংহোমের কেবিনে অমন ব্যবহার করেছিলেন নার্স, আয়া ও অন্য কর্মীরা?
নার্সিংহোমে এমনটা হতে পারে, আঁচ করে আগেভাগেই ডেম্পসির কেবিনে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেই ক্যামেরাতেই নার্সিংহোমের কেবিনে ডেম্পসির শেষ সময়ের সব ছবি তোলা রয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ভোর রাতে যখন ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্টে ‘বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও’ বলে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন ডেম্পসি, বিছানায় পা ছুড়ছিলেন, তখন তাঁর ধারেকাছে কেউ তো ছিলেনই না, কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে একে অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলেন নার্স, আয়ারা। ডেম্পসি এমনকী, বেডের কাছে রাখা কলিং বেল টিপলেও কেউ দরজা খুলে তাঁর কেবিনে ঢুকে তাঁকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে যাননি।
কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি নার্সিং সুপারভাইজার ওয়ান্ডা নাক্লস। ফলে, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে ডেম্পসির পরিবার।